কফিনে শুয়ে শ্বাস নিচ্ছিলেন নারী

ইকুয়েডরে এক নারীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলছিল। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

সমাধিস্থ করার আগে শোকার্ত স্বজনেরা ওই নারীর কাপড় বদলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁরা দেখেন কফিনে শুয়ে ওই নারী জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। কফিনের ঢাকনা খোলা থাকলেও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে তিনি হাঁপাচ্ছিলেন। বেলা মনতোয়া নামের ওই নারীর বয়স ৭৬ বছর।

বিবিসির আজকের খবরে জানানো হয়, গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। মনতোয়াকে এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। ইকুয়েডরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।

এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই নারীর কার্ডিওরেসপিরেটরি অ্যারেস্ট হয়েছিল। এর অর্থ হলো তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা একেবারে কমে গিয়েছিল। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। এ কারণে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মনতোয়ার ছেলে গিলবার রডোল্ফ বালবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁর মাকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মনতোয়াকে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য কফিনে রাখা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, খোলা একটি কফিনে মনতোয়া শুয়ে আছেন। তিনি জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। তাঁর চারপাশে অনেক মানুষের ভিড় জমেছে।

প্যারামেডিক এসে মনতোয়াকে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তাঁকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়।

তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই একই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন।

মনতোয়ার ছেলে বালবার এএফপিকে বলেন, ‘একটু একটু করে বুঝতে পারছি ঠিক কী ঘটেছিল।’ এখন শুধু মায়ের জন্য প্রার্থনা করছেন বলে জানান তিনি। তিনি মাকে পাশে চান বলেও জানান।