নেরুদাকে বিষপ্রয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি তদন্তকারীরা
নোবেলজয়ী পাবলো নেরুদার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত বৈজ্ঞানিক প্যানেলের দুজন সদস্য বলেছেন, চিলির কবি ও কূটনীতিককে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে কি না, তাঁরা নির্ধারণ করতে পারেননি। খবর এএফপির।
গত বুধবার চিলির বিচারক পাওলা প্লাজার আদালতে বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞদের ওই প্যানেল প্রতিবেদন জমা দেয়। নেরুদার মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের অপেক্ষায় রয়েছে চিলি।
কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হেন্ডরিক ও দেবি পয়েনার এএফপিকে বলেন, নেরুদার মাড়ির দাঁত পরীক্ষায় বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখা গেছে। এটি কীভাবে তাঁর শরীরে ঢুকেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নেরুদা বিখ্যাত কবি, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক। ১৯৭৩ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাবেক সামরিক শাসক অগাস্তো পিনোশে ক্ষমতা নেওয়ার সময় তিনি চিলির কমিউনিস্ট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। পিনোশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নেরুদা মেক্সিকোতে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অভ্যুত্থানের মাত্র ১২ দিন পর হাসপাতালে মারা যান নেরুদা। সে সময় সরকার বলেছে, ৬৯ বছরের নেরুদা প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বৈজ্ঞানিক প্যানেলের প্রতিবেদন পর্যালোচনার কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো আদালত পুরোপুরি বিষয়টি প্রকাশ করেননি। তবে প্রকাশের আগেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে নেরুদাকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল। এ সপ্তাহের শুরুতে নেরুদার স্বজন এ দাবি করেন।
প্যানেলের গবেষকেরা বলছেন, ‘নেরুদার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে গবেষণাগারে যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। তবে আমাদের জানা প্রয়োজন যে আদালত এটি সমর্থন করে।’
২০১১ সালে নেরুদার মৃত্যু নিয়ে প্রথম তদন্ত শুরু হয়। নেরুদার চালক ও ব্যক্তিগত সহকারী ম্যানুয়েল অরোয়া বলেন, মৃত্যুর আগে নেরুদার বুকে রহস্যজনক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে চিলি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলেন, নেরুদা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তবে ঠিক কী কারণে তিনি মারা গেছেন, সে ব্যাপারে তাঁরা নির্দিষ্ট কিছু বলেননি।