করোনায় দক্ষিণ আমেরিকা-ক্যারিবীয় দেশে মৃত্যু ৫ লাখ ছাড়াল

রিও ডি জেনিরোর দেয়ালে আঁকা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর মুখাবয়ব সংবলিত করোনার গ্রাফিতিরয়টার্সের ফাইল ছবি

দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে (কোভাড–১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা গতকাল মঙ্গলবার ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেই সঙ্গে এই মহামারিতে সংক্রমণের ঘটনা পার হলো দেড় কোটি। সামনের দিনগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটিতে এই সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে দেশগুলো। খবর রয়টার্সের।

সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের প্রকাশ করা পরিসংখ্যান থেকে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের এ তথ্য জানা গেছে।

করোনায় এই বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর এক–তৃতীয়াংশের বেশি হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলে। আর এক–চতুর্থাংশের বেশি মৃত্যু হয়েছে মেক্সিকোতে। বর্তমানে ব্রাজিলের মতোই দেশটি করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালে করোনা–আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সংখ্যা বাড়তে থাকায় মেক্সিকো সিটি ও দেশটির আরও চারটি রাজ্যে আংশিক লকডাউন কার্যকর করেছে কর্তৃপক্ষ।

করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে মেক্সিকো, চিলি ও আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে ক্ষীণ আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তবে বাকি অঞ্চলের ব্রাজিলসহ অন্য দেশগুলো এখনো টিকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

মেক্সিকোতে গতকাল করোনায় মারা গেছেন ৯৯০ জন। দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম ঘটনা এটি। এ নিয়ে সেখানে মৃত্যুর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৫। আর সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখের কিছু বেশি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৯ জন। হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে মেক্সিকো সিটি কর্তৃপক্ষ।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৭১৮ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১১১ জন। দেশটিতে সংক্রমণ শুরুর পর এ পর্যন্ত নিশ্চিত সংক্রমণের ঘটনা প্রায় ৭০ লাখ ৬০ হাজার। মোট মৃত্যু ১ লাখ ৯২ হাজার ৬৮১।

করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে মেক্সিকো, চিলি ও আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে ক্ষীণ আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তবে বাকি অঞ্চলের ব্রাজিলসহ অন্য দেশগুলো এখনো টিকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

মেক্সিকোতে গত সপ্তাহে ফাইজারের টিকার প্রথম চালান আসার পর ১৮ হাজার ৫২৯ স্বাস্থ্যকর্মীকে এই টিকা দেওয়া হয়। আগামী মাসে ক্যানসিনো বায়োলজিক্সের কাছ থেকে টিকা আসার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।