কারাগারে বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের আত্মহত্যার চেষ্টা

বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিনিন আনেজ
ফাইল ছবি: এএফপি

কারাগারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিনিন আনেজ চাভেজ। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বর্তমানে তাঁর পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা।

২০১৯ সালে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতায় আসেন আনেজ চাভেজ। ১৩ মার্চ জিনিন আনেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সেই সময়কার সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়। পরে তাঁকে লা পাজের নারী কারাগারে পাঠানো হয়। তখন থেকেই তিনি বন্দী আছেন।

গত শনিবার ৫৪ বছর বয়সী আনেজ কারাগারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরদিন গতকাল রোববার কারাগারটির পরিচালক জুয়ান কার্লোস লিম্পিস বলেন, ‘তাঁর (আনেজ) অবস্থা স্থিতিশীল আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এখন তিনি কারাগারে পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য পরিবারের পাশে থাকা প্রয়োজন।’

দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার কারণে আনেজ ‘তীব্র বিষাদে’ ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে ক্যারোলিনা রিবেরা। এ কারণেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে ধারণা তাঁর।

এর আগে গত শুক্রবার বলিভিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল জুয়ান লানচিপা আনেজের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ আনেন। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২২ জন নিহত হন। তাঁরা সবাই মোরালেসের সমর্থক ছিলেন। এসব নিহতের ঘটনার জন্য আনেজকে দায়ী করা হয়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ নাকচ করে দেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি ও তাঁর মিত্ররা দেশ ছেড়ে পালান। মোরালেস দাবি করেছিলেন, অভ্যুত্থান করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

এরপর বলিভিয়ার অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন ডানপন্থী আনেজ। ২০২০ সালের অক্টোবরে নতুন একটি নির্বাচনের পর মোরালেস নির্বাসন থেকে দেশে ফেরেন। নির্বাচনে জিতে মোরালেস–সমর্থিত বামপন্থী দল মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম (এমএএস)।

বলিভিয়ার সাবেক মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেসা আনেজের এই ‘রাজনৈতিক কারাদণ্ডের’ অবসান চান। একই সঙ্গে তাঁর প্রকৃত অবস্থা প্রকাশের আহ্বান জানান। আনেজের পরিবার বারবার তাঁকে হাসপাতালে পাঠাতে অনুরোধ করে যাচ্ছে।