চীনা টিকা কিনবে ব্রাজিল

সিনোভ্যাকের টিকা কিনবে ব্রাজিল
ছবি: রয়টার্স

ব্রাজিলের সরকার অবশ্যই তাদের দেশে পরীক্ষা করা চীনের একটি কোভিড-১৯ টিকা কিনবে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিল্টন মউর ও। গতকাল শুক্রবার এ মন্তব্য করে তিনি সরাসরি দেশটির প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারোর বিপক্ষে অবস্থান নিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো দীর্ঘদিন ধরেই চীনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত। গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি করোনার টিকা তাঁর ফেডারেল সরকার কিনবে না। অথচ তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক দিন আগেই বলেছিলেন, দেশটির টিকা কর্মসূচিতে সিনোভ্যাকের টিকাটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রাজিলে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও টিকা নীতিমালা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর মূল গভর্নরদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। ফেডারেল সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকাটিকে প্রাধান্য দিলেও গভর্নররা এর বিকল্প খুঁজছেন।

গতকাল ‘ভেজা’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বোলসোনারোর অবস্থানের কোনো ভিত্তি নেই। সাও পাওলো গভর্নর জোও ডরিয়ার মতো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জন্য তিনি চীনা টিকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

হ্যামিল্টন মউর বলেছেন, ‘সরকার অবশ্যই চীনা টিকা নেবে। বুটানটানে আমরা টিকা তৈরির জন্য ইতিমধ্যে সম্পদ বিনিয়োগ করেছি। সরকার এ থেকে পিছু হটবে না।’

সাও পাওলোর জৈব গবেষণা কেন্দ্র বুটানটানে ইনস্টিটিউটে সিনোভ্যাকের টিকাটির পরীক্ষা চলছে। এ বছরের শেষ নাগাদ এর অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন ডরিয়া। জানুয়ারি মাস থেকে টিকাদান শুরু করা যাবে।

গত বুধবার ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যানভিসা বলেছে, তারা সিনোভ্যাকের টিকা তৈরির কাঁচামাল আমদানির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে। নির্বাচিত কর্মকর্তা হিসেবে হ্যামিল্টন মউর প্রায়ই বোলসোনোরার মন্তব্যের বিরোধিতা করে আসছেন।