চুমোর খেসারত

প্রতিকী ছবি

সার্জিও লোপেজ কি কখনো ভেবেছিলেন, একটি চুমোর জন্য তাঁকে শাস্তি পেতে হবে, গুনতে হবে জরিমানা! ফুটবলে চুমো খাওয়ার জন্য ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হচ্ছে আর্জেন্টিনার এই ফুটবলারকে। আর এর মাধ্যমে ইকুয়েডরের ফুটবলে একটি ইতিহাসই গড়েছেন আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ইকুয়েডরের ফুটবলে জারি হওয়া নতুন নিয়মের প্রথম শাস্তি পাওয়া ফুটবলার তিনি। নিশ্চিত বলা যায়, এমন ইতিহাস না হলেই খুশি হতেন লোপেজ।

করোনার কারণে পাঁচ মাসের বিরতি কাটিয়ে গত আগস্টেই মাঠে ফিরেছে ইকুয়েডরের ফুটবল। কর্তৃপক্ষ এর সঙ্গে জারি করেছে নতুন কিছু নিয়মও। সেই নিয়মের একটি কোনো ফুটবলার গোল করার পর কিংবা অন্য কোনো সময় ফুটবলে চুমো খেতে পারবেন না। কিন্তু গত শুক্রবার লিগে মাকারার বিপক্ষে তাঁর দল আকুসের ১–০ গোলে জয়ের উচ্ছ্বাসে সেই নিয়মটা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন লোপেজ। হঠাৎ করেই বলে চুমো দিয়ে বসেন তিনি। এখন এর খেসারত দিতে হচ্ছে তাঁকে।

ইকুয়েডরের লিগের ডিসিপ্লিনারি কমিটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে গত সোমবার লোপেজের শাস্তি ঘোষণা করেছে। শুধু তাঁকেই নয়, জরিমানা করা হয়েছে আরও পাঁচ ফুটবলারকে। নিয়ম অমান্য করে তাঁরা জার্সি বদল করেছিলেন। জরিমানা করা হয়েছে দুটি দলকেও। দল দুটির একটিকে জরিমানা করা হয়েছে মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম না নিয়ে আসায়। অন্য দলটি জরিমানা গুনছে স্যানিটাইজার না রাখার কারণে। ইকুয়েডরে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ১৪ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় ৬ হাজার ৬০০ জন।

করোনার বিরতি কাটিয়ে ক্রিকেটও ফিরেছে মাঠে। তবে তা হচ্ছে দর্শকবিহীন মাঠে। নতুন কিছু নিয়ম সংযোজন করা হয়েছে এখানেও। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, বলে থুতু লাগানোয় নিষেধাজ্ঞা। ভুল করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই নিয়ম ভেঙেছিলেন ইংল্যান্ডের ডম সিবলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে একই কাজ করেছেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরও।