নগ্ন হয়ে ছবি তোলায় ৩ পর্যটক বহিষ্কার

পেরুর মাচু পিচু থেকে ইউরোপের তিন পর্যটককে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিশ জানান, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ অন্যতম একটি দর্শনীয় এ স্থানে নগ্ন হয়ে ছবি তোলায় তাঁদের বহিষ্কার করা হয়। 

বহিষ্কার করা তিন পর্যটকের একজন জার্মান, একজন সুইজারল্যান্ড ও অপরজন নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। পেরুর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত মঙ্গলবার তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা মার্টিন ফ্লোরেস বলেন, ‘ওই তিন পর্যটক পরনের কাপড় খুলে তাঁদের নিতম্বের ছবি তোলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাচু পিচুতে এমনটা করা অনুমোদিত নয়, নিষিদ্ধ। ফলে তাঁদের সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তাঁদের আটক করা হয়নি।’

মাচু পিচুতে নগ্ন হওয়াকে পেরু কর্তৃপক্ষ অসম্মানজনক কাজ বলে মনে করে। ২০১৪ সালের জুনে পেরুর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাচু পিচুতে নগ্ন হয়ে ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে।

১৪৫০ সালের দিকে মাচু পিচু নির্মিত হয়। কিন্তু এর এক শ’ বছর পর ইনকা সভ্যতা যখন স্পেন দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। কয়েক শ’ বছর অজ্ঞাত থাকার পর ১৯১১ সালে হিরাম বিংহাম নামের এক মার্কিন ঐতিহাসিক এটিকে আবার বিশ্বের নজরে আনেন। তারপর থেকে মাচু পিচু পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণী দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠে।

এটিকে ১৯৮১ সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকো ১৯৮৩ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।