নতুন মন্ত্রীসভা ঘোষণা দিলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো সাগাস্তি
ছবি : রয়টার্স

পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো সাগাস্তি গতকাল বুধবার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। দেশটিতে চলমান জনবিক্ষোভ থামাতে তিনি একজন সাংবিধানিক আইনজীবীকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিচ্ছেন। ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে  কিছুদিন ধরে দেশটিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা চলছে। এক সপ্তাহে দেশটি তিনজন প্রেসিডেন্ট দেখেছে।

দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ৯ নভেম্বর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসন করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যানুয়েল মেরিনো। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু করেন ভিজকারার সমর্থকেরা। এরপর দৃশ্যপটে আসেন ফ্রান্সিসকো। পেরুর কংগ্রেস ৭৬ বছর বয়সী বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ফ্রান্সিসকো সাগাস্তিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিনই নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন উদার মধ্যপন্থী এ নেতা।


এএফপি জানিয়েছে, সাগাস্তিকে দেশটির রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। গত সপ্তাহে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পর ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে দুজন নিহত হয়েছেন।

সাগাস্তি মধ্যপন্থী মোরাডো দলের নেতা। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। ওই সময় পর্যন্ত ভিজকারার দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। ৯ নভেম্বর তাঁকে অভিশংসনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।

সাগাস্তি তাঁর ১৮ সদস্যের মন্ত্রিসভার প্রধান হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং লিঙ্গ রাজনীতি-সম্পর্কিত আইন বিশেষজ্ঞ ভায়োলেতা বার্মডেজকে নিয়োগ দেন। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ ওয়ালদো মেনদোজাকে।

ভিজকারার অভিশংসনের পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া মেরিনোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন পেরুবাসী। গত রোববার তিনি পদত্যাগ করে বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রাজনৈতিক সংকট নিয়ে দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫৭ বছর বয়সী আইনপ্রণেতা মার্টিন ভিজকারা। তিনি ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হলেও কংগ্রেসে তাঁর পক্ষের লোক ছিলেন না।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামা উৎপাদনকারী দেশ পেরু করোনাভাইরাস সংক্রমণে জর্জরিত। ২০২১ সালের এপ্রিল দেশটিতে নতুন করে নির্বাচনের কথা রয়েছে।