পেরুতে করোনার সংক্রমণ ১০ লাখ ছাড়াল

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) নিশ্চিত সংক্রমণ ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এই মহামারির সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফা ঢেউ শুরু হওয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ার মধ্যে সংক্রমণ এই বিশেষ মাইলফলক অতিক্রম করল। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। রয়টার্সের খবর।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তামা উৎপাদনকারী দেশ পেরুতে বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ১৫৩। গত মার্চ মাস থেকে দেশটিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে করোনায় সেখানে মারা গেছেন ৩৭ হাজার ২১৮ জন। মহামারি নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

পেরুতে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে আসতে দেখা গেছে। দেশটিতে গত আগস্ট মাসের শেষভাগে দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার। আর গতকাল নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটে প্রায় এক হাজার।

তবে পেরুর অনেক মানুষের আশঙ্কা, করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকলে দেশের দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও রোগীতে পরিপূর্ণ হাসপাতালগুলো কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। এ অবস্থায় বছর শেষে ছুটির দিনগুলোয় মানুষের উদ্‌যাপনে লাগাম টানতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পিলার ম্যাজেটি গতকাল বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা করোনার দ্বিতীয় দফা ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি না। কিন্তু আমাদের সম্ভাব্য ওই ঢেউ সামনে রেখে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।’

করোনার প্রায় এক কোটি ডোজ টিকা পেতে পেরু সরকার ফাইজারের সঙ্গে এক প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন টিকাসংক্রান্ত জোট কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির সঙ্গেও ১ কোটি ৩২ লাখ ডোজ টিকার জন্য চুক্তি করেছে তারা।

অবশ্য প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো সাগাস্টির সরকার গত সপ্তাহে বলেছে, আন্দিজ পার্বত্য অঞ্চলের এই দেশে কবে বা প্রথম চালানে ঠিক কত ডোজ টিকা এসে পৌঁছাবে, তা তাঁদের জানা নেই।

পেরুর প্রতিবেশী দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশ, যেমন: ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও মেক্সিকোতেও করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে।