বাইডেনের ভাষণ তিনবার শুনেছেন মাদুরো
জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে বলে আশা করেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে ভেনেজুয়েলার। খবর আল জাজিরার।
প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন, তিনি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অভিষেক ভাষণ তিনবার শুনেছেন। একই সঙ্গে নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রতি ‘ট্রাম্পের চার বছরের নিষ্ঠুর অধ্যায়কে পাল্টে ফেলার’ আহ্বান জানান তিনি।
গত বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বলব, আমরা আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। এ সম্পর্কের ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও স্বীকৃতি।’
ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে শুরু করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান নিকোলা মাদুরো।
কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েনের পর ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদোকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
তবে বাইডেনের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে এক ‘নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তা ছাড়া, সিনেটে এক শুনানিতে ব্লিনকেন বলেন, গুয়াইদোকে সমর্থন করার ট্রাম্পের নীতিকে সমর্থন করেন তিনি।
ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে নানা অবরোধ আরোপ করেন, যার অন্যতম ছিল জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা। ২০১৮ সালে মাদুরোর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাকে স্বীকৃতি দিতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি।
তবে বিশ্লেষকেরা বলেন, তাঁদের ধারণা, ভেনেজুয়েলার ব্যাপারে বাইডেন সরকার অধিকতর উদার নীতি গ্রহণ করবে। ভেনেজুয়েলায় নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়েও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় সমর্থন জানাবে তাঁর সরকার।