বাইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চান মাদুরো

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো
রয়টার্স ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক বছর ধরেই বনিবনা নেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রশাসনের। হোয়াইট হাউসের সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা উত্তেজনা এবার কমার আশা করছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনার পথ তৈরির ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার মাদুরো ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাদুরো সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ, আলোচনা এবং শ্রদ্ধার সম্পর্ক স্থাপন করতে ইচ্ছুক এবং সর্বদা প্রস্তুত থাকব। আশা করি, বাইডেনের নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের চিন্তা করার সময় হবে এবং ভেনেজুয়েলা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ এবং কথোপকথনের চ্যানেলগুলো উন্মুক্ত হবে।

মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তারই প্রতিক্রিয়ায় মাদুরো গত বছরের জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

বিরোধী দলগুলোর বর্জন সত্ত্বেও গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো আরও অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। এবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে আরও ক্ষমতা নিজের আয়ত্তে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোর সঙ্গে মাদুরোর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০টির বেশি দেশ হুয়ান গুয়াইদোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ নেতা হিসেবে বিবেচনা করে।

মাদুরো বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় ট্রাম্পের নীতি চরমভাবে ব্যর্থ।

গত রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভেনেজুয়েলার নির্বাচনকে ‘জালিয়াতি ও লজ্জাজনক’ ঘটনা বলে অভিহিত করেন।

পম্পেও বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল অবৈধ মাদুরো সরকারের প্রতি মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়। রোববার ভোট দেওয়ার পর মাদুরো বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার উত্তরণের যুগের শুরু হবে।

যুক্তরাষ্ট্র এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট দিয়ে গুয়াইদোকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রাখা হবে।

মাদুরো বিদেশি প্রতিবেদকদের বলেন, তাঁকে হঠাৎ করেই কারাকাসের মূল সামরিক ঘাঁটিতে ভোটের স্থান বদল করতে হয়েছিল, কারণ তাঁকে হত্যা করা হতে পারে, এমন পরিকল্পনার কথা তিনি আগেই জেনে গিয়েছিলেন।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কলম্বিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছিলাম যে নির্বাচনের দিন আমাকে হত্যার জন্য আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’