বিশ্বে ২ কোটি ৮২ লাখের বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট মারা গেছেন ১১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮২ লাখের বেশি মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টা নাগাদ করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সংখ্যা ৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, একই সময় পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮০ জন।

বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৪ লাখ ৪ হাজার ৭৪৩ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৭ লাখ ৬ হাজার ৯৪৬। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৬১৬ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭২। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৩ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। আর্জেন্টিনা পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। কলম্বিয়া অষ্টম। পেরু নবম। মেক্সিকো দশম।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।

১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বিবেচনায় দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর সুস্থ হওয়ার হার ৭৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় সরকার।

বাংলাদেশে মার্চের শুরুর দিকে সংক্রমণ শনাক্ত হলেও দ্রুত ছড়াতে শুরু করে মে মাসের মাঝামাঝি গিয়ে। জুনে সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। মাস দুয়েক ধরে নতুন রোগী ও রোগী শনাক্তের হার কমছে। তবে এখন আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।