ভারত বায়োটেকের টিকা কিনতে চায় ব্রাজিল

ভারতে দেশীয় পদ্ধতিতে কোভ্যাক্সিন নামের টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক
ছবি: ভারত বায়োটেক

ব্রাজিলের প্রাইভেট হেলথ ক্লিনিকের একটি সংগঠন বলেছে, তারা ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে করোনার টিকা কিনতে চায়।

গতকাল রোববার ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যাকসিন ক্লিনিকস (এবিসিভিএসি) এ কথা জানায়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনটি বলেছে, তারা ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা কিনতে চায়। এ জন্য তারা ভারত বায়োটেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে।

এবিসিভিএসির ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে টিকা কিনতে তারা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

গতকাল ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ও সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ টিকার অনুমোদন দেয়।

ভারত বায়োটেক হায়দরাবাদভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান। তারা দেশীয় পদ্ধতিতে ‘কোভ্যাক্সিন’ নামের টিকা তৈরি করেছে।

‘কোভ্যাক্সিন’ টিকাটি তিনটি ট্রায়াল ধাপের মধ্যে দুটি সম্পন্ন করেছে। এখন টিকাটির তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়াল চলছে। টিকাটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল গত নভেম্বরে শুরু হয়। ভারতে কোনো টিকার তৃতীয় পর্যায়ের সবচেয়ে বড় ট্রায়াল চালানোর কথা জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, আগামী মার্চ মাসে এই ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যাবে।

তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। তাই কোভ্যাক্সিন টিকার কার্যকারিতার তথ্যের ঘাটতি থাকা অবস্থায় তা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল।

ভারত বায়োটেকের ভাষ্য, প্রাথমিক ট্রায়াল পর্যায়েই কোভ্যাক্সিন টিকার ভালো কার্যকারিতা দেখা গেছে।

অন্যদিকে, ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিসিজিআই) বলেছে, নিরাপত্তা নিয়ে সামান্যতম উদ্বেগ থাকলেও তারা কখনো কোনো টিকার অনুমোদন দেয় না। অনুমোদন পাওয়া টিকা শতভাগ নিরাপদ।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত বায়োটেকের সঙ্গে এবিসিভিএসির চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়টি নির্ভর করছে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের ওপর। তারা ব্রাজিলে ভারত বায়োটেকের টিকার অনুমোদন দিলে চূড়ান্ত চুক্তি হবে। তবে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন পর্যন্ত কোনো টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি।

ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সরকার করোনা মোকাবিলার মতো টিকা ইস্যু নিয়েও সমালোচনার মুখে আছে।

বিশ্বে করোনায় সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার। ব্রাজিলে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ।