সংকট সমাধানে পেরুতে নতুন প্রেসিডেন্ট

পেরুর প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো সাগাস্টি
ছবি : রয়টার্স

নতুন প্রেসিডেন্ট পেল পেরু।  কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে তিনজন প্রেসিডেন্টের উত্থান-পতন দেখা গেল। দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসন করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যানুয়েল মেরিনো। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেও দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু করেন ভিজকারার সমর্থকেরা। গত মঙ্গলবার তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। এর মধ্যেই পেরুর কংগ্রেস ৭৬ বছর বয়সী বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ফ্রান্সিসকো সাগাস্টিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এএফপি জানিয়েছে, সাগাস্টিকে দেশটির রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। গত সপ্তাহে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পর ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে দুজন নিহত হয়েছেন।

সাগাস্টি মধ্যপন্থী মোরাডো দলের নেতা। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। ওই সময় পর্যন্ত ভিজকারার দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। ৯ নভেম্বর তাঁকে অভিশংসনের মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।

সাগাস্টি কংগ্রেসকে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের দেশের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। বিশ্বাস রাখুন, আমরা যেভাবে বলছি সেভাবে কাজ করব।’

পেশায় প্রকৌশলী এই নেতা অবশ্য রাজনীতিতে খুব বেশি অভিজ্ঞ নন। এ বছরের মার্চেই তিনি কংগ্রেসে নির্বাচিত হন। আজ মঙ্গলবার তাঁর শপথ নেওয়ার কথা।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে রোববার তাঁর পূর্বসূরি মেরিনো পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মেরিনোর পদত্যাগের ঘোষণার পরই পেরুর রাজধানীজুড়ে আনন্দ শুরু হয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রাজনৈতিক সংকট নিয়ে দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ঘটেছে। প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসন করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যানুয়েল মেরিনো। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। মূলত এরপর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তাল হতে থাকে পেরু।

পেরুর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫৭ বছর বয়সী আইনপ্রণেতা মার্টিন ভিজকারার। তিনি ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হলেও কংগ্রেসে তাঁর পক্ষের লোক ছিলেন না।