চিত্রকর্মটি বিক্রি হলো ২,৮৯১ কোটি টাকায়

গুস্তাফ ক্লিমটের ‘পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার’ চিত্রকর্মটি প্রদর্শন করে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সদবিসছবি : এএফপি

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া চিত্রকর্মের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। প্রথমে রয়েছে জগদ্বিখ্যাত ইতালিয়ান শিল্পী লেওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ‘সালভাতর মুন্দি’। যিশুখ্রিষ্টকে নিয়ে আঁকা চিত্রকর্মটি ২০১৭ সালে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার আঁকা হয় ১৯১৪ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে। অস্ট্রিয়ার প্রভাবশালী ইহুদি পরিবারের মেয়ে এলিজাবেথ লেডেরারের বাবা অগাস্ট লেডেরার ছিলেন ক্লিমটের বড় পৃষ্ঠপোষক। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রিয়া দখলের সময় চিত্রকর্মটি জব্দ করে নাৎসি বাহিনী। আশির দশকে সেটি আবার চিত্রকর্মের বাজারে আসে। তখন থেকেই এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় ছিল।

গুস্তাফ ক্লিমট

দীর্ঘদিন চোখের আড়ালে থাকায় চিত্রকর্মটি নিয়ে বড় আগ্রহ ছিল। এ ছাড়া ক্লিমটের জীবনের শেষ দিকের আঁকা এ চিত্রকর্ম তাঁর ‘স্বর্ণযুগে’ আঁকা চিত্রকর্মগুলোর চেয়ে আলাদা। ওই যুগে তাঁর ‘পোর্ট্রেট অব আডেল ব্লক-বাউয়ার ১’ এবং ‘দ্য কিস’-এর মতো চিত্রকর্মগুলোয় সোনালি রঙের কাজ থাকলেও পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরারে নেই।

চিত্রকর্মটি ঘিরে সাড়া জাগানো আরেকটি বিষয় ত্রিশের দশকের। ইহুদি পরিবারের সন্তান হওয়ায় অস্ট্রিয়ায় চরম দুর্দশার মুখে পড়েছিলেন এলিজাবেথ লেডেরার। নিপীড়ন থেকে বাঁচতে অ–ইহুদি শিল্পী ক্লিমটকে নিজের প্রকৃত বাবা বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর মা-ও এটি স্বীকার করে হলফনামা দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে নতুন অ–ইহুদি পরিচয় নিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলেন এলিজাবেথ লেডেরার। চিত্রকর্মটি নিয়ে এত আগ্রহের পেছনে এ গল্পের ভূমিকাও কম নয়।