পরীক্ষায় নকল তো নয়, যেন শিল্পের কসরত

এভাবে ১১টি কলমে নকল লিখে আনেন স্পেনের সেই শিক্ষার্থী
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নকল করার প্রবণতা অনেক সময়ই দেখা যায়। সাধারণত চিরকুটে করা এসব নকল তাঁরা পকেটে বা শরীরের কোথাও লুকিয়ে রাখেন। যুগ যুগ ধরে হাতের তালু, বাহু, জামার উল্টো পিঠ, চেয়ার-টেবিল বা দেয়াল ছাপিয়ে হাল আমলে নকলের এই দৌরাত্ম্য ঠেকেছে মুঠোফোন–স্মার্ট গ্যাজেট পর্যন্ত। কিন্তু স্পেনের একজন আইনের ছাত্র নকল করতে যে কসরত করেছেন, তা রীতিমতো ‘শিল্পের’ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

যুক্তরাজ্যের একটি গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মূলত সংবাদটি চাউর হয় ৫ অক্টোবর স্পেনের মালাগা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের করা এক টুইটের পর। আইনের এক পরীক্ষার্থী ১১টি কলমে তাঁর পাঠ্যসূচি থেকে সম্ভাব্য সব প্রশ্নের উত্তর লিখে আনেন। কলমের গায়ে যে অন্য কিছু লেখা আছে, তা প্রথম দেখায় বোঝা দায়। মনে হবে, কলমের গায়ে অঙ্কিত নকশা। কিন্তু ভালোভাবে পরখ করার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রকৃত বিষয়টি। কলমের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত স্প্যানিশ ভাষায় সারি সারি সব লেখা।

জোলান্দা দে লুক্কি নামের ওই অধ্যাপক লেখেন, ‘কলমের গাজুড়ে লেখা শব্দের সারিগুলো মূলত ফৌজদারি আইনের বিভিন্ন বিষয়ের।’ টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘ঘটনাটি কয়েক বছর আগের। নকল করার অপরাধে ওই শিক্ষার্থীকে শাস্তি পেতে হয়েছে।’

জোলান্দার টুইট বার্তাটি ভাইরাল হয়েছে। এটিতে প্রায় চার লাখ লাইক পড়েছে। রিটুইট হয়েছে ৩২ হাজারবার।

গনজো নামের একজন দাবি করেন, তিনি ওই শিক্ষার্থীকে চেনেন। প্লাস্টিকের ওই কলমগুলোর গায়ে নকল করতে তিনি যান্ত্রিক পেনসিল ব্যবহার করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের আরও অনেকে এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের একজন অন্য পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে লেখেন, ‘নকলের মতো অপরাধ করার জন্য এত শ্রম ও কসরত করার প্রয়োজন নেই। বৈধ পথে এই শ্রম দিলে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় বিষয় আত্মস্থ করা সম্ভব।’

আরেকজন মন্তব্য করেন, তিনি কলমগুলোর ছবি দেখে প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে ছবিটি বড় করে (জুম) দেখলে বিষয়টি তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়।