অকালে ঝরে গেল আরেকটি তরুণ প্রাণ

তারেক আজিজ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশি তরুণ তারেক আজিজের মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৬ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে ফুড ডেলিভারির কাজ করা তারেক আজিজের মৃত্যু হয়। গত ২৩ আগস্ট নিউইয়র্ক সময় দিবাগত রাতে ফুড ডেলিভারি দিয়ে বাসায় ফেরার পথে দ্রুতগামী যানের ধাক্কায় আহত হন তারেক। দ্রুত পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ব্রুকডেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিন বছর আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বাই রোডে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তারেক আজিজ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সোনালি ভবিষ্যৎ গড়তে এসে জীবিকার ঝুঁকি এড়াতে পারেননি এই তরুণ।

খবর পেয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সেক্রেটারি তাজু মিয়াসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তারেকের ভাই রুবেল উদ্দিন, মামা নাজমুলসহ আত্মীয় ও সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতাল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে মরদেহ গ্রহণের পর জানাজা শেষে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।

নিহত তারেকের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আতর মিয়া হাজি বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তাঁরা দুই ভাই নিউইয়র্কে থাকেন।

স্বজনেরা জানান, নিহত তারেক আজিজ থাকতেন নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের ইস্ট নিউইয়র্কের ইউক্লিড এলাকায়। স্কুটারে করে ফুড ভেলিভারির কাজ করতেন তিনি। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় ছিল তাঁর মামলা। ইতিমধ্যে ওয়ার্ক পারমিটসহ আনুষঙ্গিক বৈধ কাগজপত্রও ছিল তাঁর।

ছোট ভাইকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ রুবেল উদ্দিন জানান, তিনি নিজে কিছুটা অসুস্থ, ঠিকভাবে কাজ করতে পারেন না। ছোট ভাই তারেক ছিল উদ্যমী ও ছটফটে। সেই ভাই এখন আর নেই। নিহতের মামা নাজমুল বলেন, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে জানাজার সময় ও স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে সবাইকে। পরবর্তীতে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।

গত ৮ জুলাই ম্যানহাটনের ডাউন টাউনের ব্যস্ততম ইস্ট হিউস্টন ও ক্লিনটন স্ট্রিটের ক্রসিংয়ে দ্রুতগামী কারের ধাক্কায় নিহত হন বাইকার বরকত উল্যাহ মুন্না (২৩)। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার দেউটি ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামে।