অন্ধবিশ্বাস ও করুণ পরিণতি
মাছুম বেশ সহজ সরল ও বোকা প্রকৃতির ছেলে। সে ছিল তার দরিদ্র মা-বাবার একমাত্র আদরের সন্তান। মাছুমের বাবা আক্কাস আলী ছিল একজন রিকশাচালক। বাবার রোজগারে ভালোই চলত তাদের সংসার। মাছুমের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় আক্কাস আলী। মাছুমের মা শিউলির মাথার ওপর যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। তখন সাদা কাপড় শরীরে জড়িয়ে পাঁচ বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয় সদ্য বিধবা শিউলি। সেখানে তার বৃদ্ধা মা মরিয়ম ছাড়া আর কেউ নেই। তার বড় ভাই মুখলেছ বিয়ের পর শহরে পরিবার নিয়ে থাকে। সেও ঠিকমতো বৃদ্ধা মায়ের খোঁজখবর রাখে না। তাই শিউলি গৃহস্থ বাড়িতে গৃহস্থালি কাজ করে পরিবারের হাল ধরে। শত অভাবের মাঝেও মাছুমকে গ্রামের একটা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। মোটামুটি ভালোই চলছিল বৃদ্ধা মা ও ছেলেকে নিয়ে শিউলির নতুন জীবন। মাছুমের যখন এগারো বছর বয়স, তখন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিউলি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। বাবা-মা হারিয়ে মাছুম এখন পুরোপুরি এতিম। তখন বৃদ্ধা নানি ছিল তার একমাত্র আশ্রয়। নানি মরিয়মের পক্ষে ভিক্ষা করে সংসার চালানো যেখানে দায়, সেখানে মাছুমের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়া অসম্ভব ছিল। বন্ধ হয়ে গেল মাছুমের স্কুলে যাওয়া।
একবার মাছুমের মামা মুখলেছ এসে সঙ্গে করে মাছুমকে শহরে নিয়ে যায়। সেখানে একটা পরিচিত খাবার হোটেলে মাছুমকে কাজে লাগিয়ে দেয়। মাছুম বেশ পরিশ্রমী ছিল, কিন্তু বোকা হওয়ার কারণে প্রায়ই কাজে গন্ডগোল পাকিয়ে দেয়। তাই হোটেল মালিকের কাছে সব সময়ই মার খেত। মাস শেষে মুখলেছ হোটেল মালিকের কাছ থেকে মাছুমের মাসিক বেতন নিতে আসে। তখন মাছুম কাজ ছেড়ে তার মামার সঙ্গে চলে যেতে নাছোড়বান্দা হয়ে উঠে। মুখলেছ তখন বেদম মার দিয়ে মাছুমকে হোটেলে কাজ করতে বাধ্য করে। অনেকটাই নিরুপায় হয়ে মাছুম সব নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে এই হোটেলে দিনের পর দিন কাজ করে আর মুখলেছ মাস শেষে বেতন নিয়ে যায়।
একবার মুখলেছ এসে জানাল, ওর নানি কিছুদিন আগে মারা গেছে। তখন মাছুম কান্নায় ভেঙে পড়ে। পৃথিবীতে তার আপনজন বলতে আর কেউ রইল না। যেন আজ তার কোনো পিছুটান নেই। সে এখন এই বন্দীজীবন থেকে মুক্তি চায়। একদিন রাতে হোটেলের সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিল, মাছুম তখন অজানা উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। হোটেলের কাছেই ছিল রেল স্টেশন। সেখানে গিয়ে একটা লোকাল ট্রেনে উঠে। তারপর একটা বগির কোনায় মেঝেতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মানুষের কোলাহলে যখন মাছুমের ঘুম ভাঙে, তখন তাকিয়ে দেখে ভোর হয়ে গেছে। দলবদ্ধভাবে ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে যাচ্ছে। মাছুমও তাদের পিছু পিছু ট্রেন থেকে নেমে গেল। স্টেশন থেকে বের হয়ে দেখল এক অচেনা নতুন জায়গা।
ক্ষুধার্ত মাছুমের মনে নতুন জায়গা নিয়ে কোনো কৌতূহল নেই। তার এখন পেটে ক্ষুধা, সে খেতে চায় কিন্তু পকেটে নেই টাকা। তাই কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই একটা খাবার হোটেলের কাছেই দাঁড়িয়ে রইল। মানুষ সকালের নাশতা সেরে জনে জনে হোটেল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেউ যেন অসহায় ক্ষুধার্ত মাছুমকে দেখতে পাচ্ছে না। হঠাৎ করে হোটেলের ভেতর থেকে মধ্যবয়সী এক লোক মাছুমকে ইশারা করে ডাক দেয়। তখন মাছুম ওই লোকের ডাকে সাড়া দিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢুকে। এই লোকটি ছিল একটা ইটের ভাটার সর্দার, তার নাম ফরিদ মিয়া। সে নানা প্রশ্ন করে মাছুমের জীবন বৃত্তান্ত জেনে নেয়। তারপর মাছুমকে পাশে বসিয়ে আদর করে সকালের নাশতা করায়। মাছুমের নাশতা করা শেষ হলে ফরিদ সঙ্গে করে মাছুমকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে সে মাছুমকে বলে, ‘পৃথিবীতে তোর যখন কেউ নাই, আইজ থাইক্যা আমি তোর বাপ, তোর সব দায়িত্ব আমার।’
ফরিদের কথায় মাছুম যেন একটা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায়। এখন সে ফরিদকে বাবা আর ফরিদের স্ত্রী আমেনাকে মা বলে ডাকে। ফরিদের ঘরে ছোট ছোট তিনটি সন্তান আছে, এদের মাছুম নিজের ছোট ভাইবোনের দৃষ্টিতে দেখে। কয়েক দিন পর ফরিদের মাধ্যমে মাছুম ইটের ভাটায় কাজ শুরু করে। সপ্তাহ শেষে যেটুকু মজুরি পায়, সবটাই আশ্রয়দাতা বাবা ফরিদের কাছে গচ্ছিত রাখে। ফরিদ বলেছে, এই জমানো টাকা দিয়ে সে মাছুমের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। ফরিদের পরিবার এখন মাছুমের পরিবার হয়ে উঠেছে। সে ইটের ভাটায় কাজ শেষ করে ফরিদের পরিবারের হাট–বাজার থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজ করে দেয়। এসবে মাছুমের কোনো ক্লান্তি নেই। সে একটি আশ্রয় পেয়েছে, নতুন একটি পরিবার পেয়েছে, এতেই খুব খুশি। বলতে গেলে ভালোই যাচ্ছে মাছুমের নতুন জীবন। এভাবে প্রায় চার বছর কেটে গেল।
এখন মাছুম উঠতি বয়সী যুবক। সে আর ফরিদের ঘরে থাকে না। এখন সে পাহারাদারের মতো ইট ভাটার শ্রমিকদের সঙ্গে রাত্রিযাপন করে। তবে ফরিদের পরিবারের কাজকর্ম ও হাট বাজার আগের মতোই করে দিয়ে আসে। মাছুমের জীবন ইতিহাস ইট ভাটার কমবেশি সবারই জানা আছে। কেউ কেউ মাছুমকে বোঝায়, ‘ইট ভাটার সর্দার ফরিদ খুব বাজে প্রকৃতির মানুষ। সে শ্রমিকদের রক্ত চুষে খায়। তার চরিত্রের কোনো বালাই নেই। শুধু নিজের স্বার্থে সে মাছুমকে ছেলে বানিয়েছে।’ এসব কথায় মাছুম উল্টো বিরক্ত হয় এবং প্রতিবাদ করে। যদিও সে জানে ফরিদের স্বভাবচরিত্র মোটেও ভালো নয় এবং শ্রমিকদের ওপর অনেক অন্যায়–অবিচার করে। যে যাই বলুক, তবুও সে তার আশ্রয়দাতা পিতার বিরুদ্ধে কখনো কথা বলবে না। এখনো সেই আগের মতোই ফরিদের কাছেই তার সাপ্তাহিক মজুরি গচ্ছিত রাখে।
এদিকে গত বছর ইটের ভাটায় অনেক লোকসান হয়েছে। আগুনে পোড়ানোর পর ইটগুলো লাল হয়নি এবং ইটের মান বেশ খারাপ ছিল। এবারও একই রকম অবস্থা। তাই ইট ভাটার মালিক খুব চিন্তিত, এভাবে চললে হয়তো ইট ভাটা বন্ধ করে দিতে হবে। ইট ভাটার সর্দার হিসেবে ফরিদ নিজেও চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি। তবুও আগুনে পোড়ানোর পর ইটের রং পুরোপুরি লাল হচ্ছে না। অধিকাংশ ইট হালকা লালচে সাদা রং ধারণ করছে। আর নয়তো ইটগুলো বেঁকে যাচ্ছে। আগুনে পোড়ানোর পর ইটগুলো কেন এমন হচ্ছে, অনেক গবেষণা করেও কেউ কোনো সমাধান বের করতে পারছে না।
ইট ভাটার মালিক মোটামুটি শিক্ষিত হলেও সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের প্রতি তার ছিল অগাধ বিশ্বাস। খুব ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধুর পরামর্শে তিনি একজন তান্ত্রিকের কাছে এই সমস্যার সমাধানে পরামর্শ নিতে যান। তান্ত্রিক অনেক তন্ত্র-মন্ত্র পড়ে জানাল, ‘ইট ভাটার চুল্লি ভোগ চায়। একটা নরমুণ্ড লাগবে। কাঁচা ইট পোড়ানোর আগে কোনো তরতাজা যুবককে নরবলি দিয়ে তার মুণ্ড চুল্লিতে রাখতে হবে। তখন আগুন ধরালে ইটগুলো পুড়ে আবার সেই আগের মতো লাল হয়ে উঠবে।’ এ কথা শুনে ইট ভাটার মালিক আরও বেশি চিন্তায় পড়ে গেলেন। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ইট ভাটার সর্দার ফরিদের ওপর এই সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কাউকে না জানিয়ে খুব গোপনে এই কাজটি করে দিতে পারলে তিনি ফরিদকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভনও দিলেন। লোভী ফরিদ সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে দশ দিন সময় চেয়ে অগ্রিম পনেরো হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এদিকে ফরিদ চিন্তা ভাবনা করতে করতে এক সপ্তাহ চলে গেছে কিন্তু কোনো সমাধান বের করতে পারছে না। আর বাকি মাত্র তিন দিন কিন্তু কার মুণ্ডু এনে দেবে? গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে রাতের বেলা ফরিদ মদের গ্লাস হাতে ঘরে বসে আছে। ঠিক তখনই বাজার নিয়ে ফরিদের সামনে মাছুমের আগমন। ফরিদ তখন খুব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাছুমের মৃত মা-বাপ তোলে গালিগালাজ করার পাশাপাশি বেদম মারধর পর্যন্ত করে। মাছুম সেদিন-ই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল, সে এবার চলে যাবে, ফরিদ যেন তার সব টাকা বুঝিয়ে দেয়। মাছুমের কথা শুনে ফরিদের মাথায় যেন আগুন চেপে যায়।
পর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মাছুম ইট ভাটার সবাইকে জানিয়ে দিল, ফরিদের কাছ থেকে তার জমানো টাকা বুঝে নিয়ে এবার সে চলে যাবে। মাছুমের সিদ্ধান্তে সবাই অবাক হলেও মনে মনে খুশিই হয়েছে। এবার বুঝি ছেলেটার একটু বুদ্ধি হয়েছে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কথা ফরিদের কানে পৌঁছে দেয় তার দুই ঘনিষ্ঠ শিষ্য দুলাল ও বশির। সেদিন রাতেই ফরিদ ইট ভাটার সবার সামনে মাছুমকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করে। তারপর মাছুমের হাতে পনেরো হাজার টাকা দিয়ে বলে, ‘এই দিলাম তোরে পনেরো হাজার টাকা, এক বছর পরে আরও পনেরো হাজার পাবি। তুই আমারে ছাইরা গেলেও আমি তোরে বিদাই দিমু না।’
মাছুম নিজেও ফরিদকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করে। তারপর ইটভাটা থেকে বের হয়ে ফরিদ বাড়ি চলে যায়। মাছুম সেদিন রাতে ঘুমাতে পারেনি, এখান থেকে চলে যেতে ইচ্ছে করছে না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফরিদের বাড়িতে গিয়ে ফরিদের পায়ে ধরে মাছুম মাফ চায়। সব টাকা ফরিদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। ফরিদ তখন মাফ করে মাছুমকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়ে ইট ভাটায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে মালিকের নির্দেশে ম্যানেজারের উপস্থিতিতে সবাইকে দেনাপাওনা বুঝিয়ে দিয়ে এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করে ফরিদ। দুপুরের পর ইটভাটা বলতে গেলে খালি হয়ে যায়। ফরিদ রাতে বাড়িতে ফিরে মাছুমের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে করতে রাতের খাবার খায়। তারপর মাছুমকে ইটভাটায় যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মাছুম ইটের ভাটায় গিয়ে দেখে কেউ নেই। ডেরার ভেতরে আছে শুধু ফরিদের ঘনিষ্ঠ দুই শিষ্য দুলাল ও বশির। মাছুম এই দুজনকে পছন্দ না করলেও এদের পাশেই ঘুমাতে গেল। বিছানায় শুতেই দুচোখ জুড়ে রাজ্যের ঘুম আসল। তার মনে হচ্ছিল, কেউ যেন ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছে।
মধ্য রাতে ধস্তাধস্তির কারণে মাছুমের ঘুম ভেঙে যায়। সে নিজেকে আবিষ্কার করল, শক্ত দড়ি দিয়ে তার হাত-পা ও গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে রাখা হয়েছে। শরীরের তেমন শক্তি পাচ্ছে না, চোখে গভীর ঘুম। তবুও মাছুম নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে ছটফট করছে। পাশেই বসে থাকা দুলাল ও বশির দাঁত বের করে হাসছে আর মদ গিলছে। একটু পরেই একটা মোটরসাইকেল আসার আওয়াজ পেল। এবার ডেরার ভেতরে প্রবেশ করল ফরিদ ও ইটভাটার মালিক। ফরিদকে দেখে মাছুম যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। তেমনিভাবেই মাছুমকে এই অবস্থায় দেখে ইটভাটার মালিক অবাক হয়ে যায়। তিনি ফরিদকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এইটা না তোর পালকা পোলা, এরে ক্যামনে মারবি, যদি কোনো সমস্যা হয়।’ ফরিদ বলল, ‘এরে মারলেই সুবিধা। এই দুনিয়ায় হের কেউ নাই। কেউ খুঁজ খবর নিতে আইবো না। ইট ভাটার সবাই জানে, আজকে হে ভাটা ছাইরা এক্কেবারে চইল্যা যাইবো।’
সব শুনে ইট ভাটার মালিক বললেন, ‘তাইলে কামডা জলদি শেষ কর।’ তাদের কথাবার্তা শুনে মাছুমের দুচোখ ভরে অঝোরে পানি পড়ছে। তার মায়ের মুখটা চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে আর খুব ছটফট করছে। মাছুমের এমন অবস্থা দেখেও লোভী ফরিদের মনে বিন্দু পরিমাণ দয়া হয়নি। ফরিদের ইশারায় দুলাল ও বশির দুজন মিলে মাছুমকে শক্ত করে ধরে, যেন সে নড়াচড়া করতে না পারে। মুহূর্তেই ফরিদ পিশাচের মতো একটা ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে ঘাড় থেকে মাছুমের মাথা আলাদা করে ফেলে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়ে আশপাশ লাল হয়ে যায়। দুলাল ও বশির ভালো করে ধুয়ে মুছে রক্ত পরিষ্কার করে।
ফরিদ ইট ভাটার মালিকের কাছ থেকে বাকি পনেরো হাজার টাকা নিয়ে দুলাল ও বশিরকে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। তারপর চারজন মিলে মাছুমের নরমুণ্ড ভোগ হিসেবে ইটের ভাটার চুল্লিতে রেখে আগুন ধরায়। যদিও এতে কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু এভাবেই কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও লোভের কারণে মাছুমের মতো সহজ–সরল নিরীহ তরতাজা যুবকের নির্মম পরিণতি ঘটে।