আবদুর রকিব মন্টুকে সাবেক জাতীয় খেলোয়াড়দের অভিনন্দন

এক সময়ের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কৃতি খেলোয়াড় ও সংগঠক বাংলাদেশের সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নির্বাচনে বিপুল ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ জর্ন তাঁকে ও ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নবনির্বাচিত সব সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাবেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়বৃন্দ, বাংলাদেশ স্পোর্টস ফাউন্ডেশন অব নর্থ আমেরিকাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩ আগস্ট। এতে ফারুক-মন্টু পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। নির্বাচনে ১২০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু পেয়েছেন ৯৬ ভোট। তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ শাহ আলম ১৯ ভোট এবং এস এম সাদাত হোসেন সোহেল পান ২ ভোট।
ফেডারেশনের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু এশিয়ান অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের লিগ্যাল কমিশনের মেম্বার, সাফের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য। সাবেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ কৃতি খেলোয়াড় অ্যাথলেটিকস, ফুটবল, ভলিবলে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। অসংখ্যবার স্বর্ণ পদক বিজয়ী মন্টু ১৯৮৬ সালে পোলভল্টে জাতীয় রেকর্ড গড়েন (১১ফুট ৯ইঞ্চি)। ১৯৯৩ সালে বুয়েট মাঠে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় পোলভল্ট ও বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক বিজয়ী হন। সিলেটের কৃতি এ সন্তান বিজেএমসির হয়ে ১৯৯২, ১৯৯৬ ও ২০০০ সালে বাংলাদেশ গেমসে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তিনি ফুটবলে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে সিলেটের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন। কৃতি ফুটবলার মন্টু পরে দেশে-বিদেশে নানা টুর্নামেন্টে অংশ নেন। ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও সাধারণ বিমা ক্লাবের পক্ষে খেলেন।
আব্দুর রকিব মন্টু সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত কৃতি অ্যাথলেট বশির আলীর তৃতীয় ছেলে। সিলেটে তাঁদের পরিবার অ্যাথলেট পরিবার হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এ পরিবারের সাত সদস্যের সবাই জাতীয় পর্যায়ের কৃতী অ্যাথলেট ছিলেন। সবাই ক্রীড়া ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক বিজয়ী হয়ে সাফল্যের অনন্য নজির স্থাপন করেন। তাঁর বাবা তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান জাতীয় অ্যাথলেট দলের অধিনায়ক মো. বশির আলী ১৯৬৫-৬৬ সালে পাকিস্তান অলিম্পিক দলের নেতৃত্ব দেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার বশির আলী প্রথমে অলিম্পিকে পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পরে শিল্প উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গোলক, চাকতি, বর্শা ও হেমার থ্রোতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। বর্শা নিক্ষেপে জাতীয় রেকর্ড করে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। অ্যাথলেট বশির আলী ২০০৬ সালের ১৪ মার্চ ফেঞ্চুগঞ্জের নিজামপুর গ্রামে ইন্তেকাল করেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর তিন ছেলে ও তিন মেয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক জয় করেন। বর্তমানে আব্দুর রউফ পাশা ও আব্দুর রকিব মন্টু ছাড়া তাঁদের সবাই আমেরিকা প্রবাসী।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় আব্দুর রকিব মন্টু কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। এদিকে বাংলাদেশ স্পোর্টস ফাউন্ডেশন অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ফেরদৌস, সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় মোশাররফ হোসেন খান, সাইদুর রহমান ডন, মোস্তফা হোসেন মুকুল, সাঈদ উর রব, আরিফুল হক, শাহজালাল মবিন, বিমল চন্দ্র তরফদার, ওমর ফারুক, কারার মিজান, ইলিয়াস হোসেন, রানা ফেরদৌস চৌধুরী, বক্সার সেলিম, জাহাঙ্গীর হোসেন, সফিকুল ইসলাম জন, আকতার হোসেন ফজলু, আয়াজ খান, ছোট ইউসুফ, গোলাম মোস্তফা, আবদুল্লা সাইফ, আবদুর রউফ পাশা, মহিউদ্দিন দেওয়ান, নাজমুল ইসলাম, সৈয়দ এনায়েত আলী, শাহান উদ্দিন চৌধুরী, তৈয়বুর রহমান টনি, পিনাকি সেন, জাবেদ খসরু, লাকী চৌধুরী আখী, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনার কাওছারুজ্জামান কয়েছ, বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু ও সাধারণ সম্পাদক আহবাব চৌধুরী খোকনসহ অনেকেই তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।