করোনার নতুন ধরন নিয়ে উৎকণ্ঠায় স্বাস্থ্যসেবীরা

করোনাভাইরাস
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। করোনার এই নতুন ধরন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি।

১ মার্চ হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের খুব গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।’

এদিকে ১ মার্চ নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ সংক্রমণের এক বছর পূর্তি হয়েছে। গত বছরের এ দিনটিতে নিউইয়র্কে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে কোভিড-১৯ এ নগরীর একজনের সংক্রমিত হওয়ার খবর জানানো হয়। এরপর দ্রুতই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এক বছরে করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্ক সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

নিউইয়র্ক নগরীতে ৭ লাখের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। আর এতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের। গত বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে নিউইয়র্ক মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছিল। মরদেহ রাখার স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। এ কারণে অনেক মৃতদেহ গণকবর দেওয়া হয়েছে।

নিউইয়র্কে বিপুল হারে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে নগরীতে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। টিকায় করোনার এই নতুন ধরন কতটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে, এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না।

হোয়াইট হাইসের সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে। সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সতর্কতার পদক্ষেপগুলো মেনে চলতে হবে।

নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ১ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘গত বছরটি নিউইয়র্কের জন্য দীর্ঘ এবং কঠিন একটি বছর ছিল। আমরা লড়াই করে জয়ী হয়েছি। এখনো লড়াই চলছে। এ লড়াইয়ে আমরা জয়ী হব।’