ক্যাসিনোর নেভাদায় ঝুলছে ট্রাম্প–বাইডেনের ভাগ্য

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে গত মার্চে বন্ধ হয়ে যাওয়া লাসভেগাসের ক্যাসিনো খোলে জুন মাসে
রয়টার্স ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল ভোটের (৬) হিসাবে ছোট্ট অঙ্গরাজ্য নেভাদা। এ রাজ্যেই আছে দুনিয়ার বড় জুয়ার শহর লাস ভেগাস। মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা ঠিক করতে এই ছোট রাজ্য নিয়ামক হয়ে উঠেছে।

২০১৬ সালের নির্বাচনে খুব কম ব্যবধানে এই অঙ্গরাজ্যে জিতেছিলেন ডেমোক্র্যাটদের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। এবারও এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী জো বাইডেন। কিন্তু শতাংশ কিংবা ভোটের হিসাবে এই এগিয়ে থাকা নগণ্য।

সিএনএনের ‘প্রজেকশনে’ বলা হয়েছে, নেভাদায় বাইডেন ভোট পেয়েছেন ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৫২টি। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬০৫টি। অর্থাৎ ভোটের ব্যবধান মাত্র ৭ হাজার ৬৪৭। আর শতাংশের হিসাবে এই ব্যবধান শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু এই অঙ্গরাজ্যে এখনো ভোট গণনা বাকি প্রায় ১৪ শতাংশ। মার্কিন বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ফলাফল নির্ধারণে এই ভোট প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে ফলাফল যেকোনো দিকেই ঘুরে যেতে পারে।

যদিও এবারের ফলাফল নির্ধারণে নেভাদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কারণ, সিএনএনের হিসাব অনুসারে বাইডেনের পকেটে রয়েছে ২৫৩টি ইলেকটোরাল ভোট।

তিনি এগিয়ে রয়েছেন নেভাদা ও অ্যারিজোনায়। এ দুই অঙ্গরাজ্যে জিতলে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হচ্ছে বাইডেনের। কিন্তু নেভাদার ভোট গণনা বাইডেনকে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। কারণ, সেখানকার সেক্রেটারি অব স্টেট কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জেনিফার রাসেল সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় (বাংলদেশ সময় শুক্রবার) এই রাজ্যের ভোট গণনার আপডেট জানাবেন তাঁরা।

সিএনএন জানিয়েছে, সেখানকার দুটি জনবহুল কাউন্টির ভোট এই ফল নির্ধারণ করবে। এদিকে নেভাদার আইন অনুসারে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত যেসব ডাকভোট আসবে, সেগুলোও গ্রহণ করা হবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট ট্রাম্পের পকেটে চলে যায়, তবে ফলাফলের চিত্র বদলে যেতে পারে। কারণ, ট্রাম্পের পকেটে রয়েছে ২১৩টি ইলেকটোরার ভোট। আর জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও পেনসিলভানিয়ায় এখনো এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এই অঙ্গরাজ্যগুলোয় মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫১টি। এর সঙ্গে যদি নেভাদার ৬টি ইলেকটোরাল ভোট যুক্ত হয়, তবে এই ৫৭টি ভোট এবং ২১৩টি নিয়ে হয়ে যায় ২৭০টি।