জ্বালানি তেল আমদানি নিয়ে নিজ দেশেই চাপে বাইডেন
রাশিয়ার ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে এবং রাশিয়াকে অর্থনৈতিক চাপে রাখতে দেশটি থেকে তেল না কেনার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। বিকল্প বাজার খুঁজতে বাইডেন দ্বারস্থ হয়েছেন সৌদি আরব, ভেনেজুয়েলা ও ইরানের। তবে এসব দেশের কাছ থেকে তেল কেনার পরিকল্পনার জন্য বাইডনকে দ্বিমুখী সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। খোদ মার্কিন সিনেটররাই এর সমালোচনা শুরু করেছেন। কেউ বলছেন ভেনেজুয়েলা বা ইরানের মতো দেশের কাছ থেকে তেল আমদানির পরিকল্পনা বা তাদের ওপর নির্ভর করা ঠিক হবে না। কারও মতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরই তেল-গ্যাস উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তাহলে এসব দেশের দ্বারস্থ হওয়া কেন?
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি ভেঙে দিতে দেশটির কাছ থেকে জ্বালানি তেল না নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াও তাদের কাছ থেকে তেল না নিলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে। এসব কারণে রাশিয়ার পরিবর্তে তেল ক্রয়ের বিকল্প বাজারের খোঁজ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে তেল আমদানির পরিকল্পনা কতটা ভালো, সিএনএনের এ প্রশ্নের জবাবে সিনেটর জো মানচিন বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা আমাদের জন্য নয়। অন্য দেশ তাদের কাছ থেকে তেল কিনতে সক্ষম হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজ করতে পারি। আমরা কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে কাজ করতে পারি। অন্য অনেক দেশে এ সুযোগ নেই।’
মানচিন বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা আর ইরান আমাদের জন্য সব সময়ই কঠোর। সৌদিরা কিছুটা নমনীয় হতে পারে। তবে আমাদের যা করা উচিত, তা–ই করতে হবে।’
সিনেটর মার্ক কেলে বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গ্যাস কেনাটা ঠিক হবে না।’
ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে তেল কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেই গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।
সিনেট জিওপি ক্যাম্পেইনের প্রধান সিনেটর রিক স্কট বলেন, ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করা উচিত আমাদের। তবে তেলের জন্য আমাদের ভেনেজুয়েলামুখী হওয়াটাও ঠিক হবে না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখন শিখব যে এসব ঠগবাজদের ওপর আমরা আস্থা রাখতে পারি না।’