টেক্সাসে সিনাগগে অপহরণকারী ব্রিটিশ নিহত, যুক্তরাজ্যে আটক ২

সিনাগগের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কথা বলছেন এক নারী
ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগে যে ব্যক্তি চারজনকে জিম্মি করেছিলেন, তাঁর পরিচয় জানা গেছে। ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই বলেছে, তাঁর নাম মালিক ফয়সাল আকরাম (৪৪)। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যুক্তরাজ্যে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ওই সিনাগগের নাম কংগ্রেগেশন বেথ ইসরায়েল। এটি অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট ওর্থ থেকে ১৬ মাইল উত্তর-পশ্চিমে কোলিভিল এলাকায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবনে ঢুকে অভিযান চালানো শুরু করলে ওই অপহরণকারী নিহত হন। তবে এটা পরিষ্কার নয়, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এফবিআইয়ের সদস্যের হাতে তাঁর প্রাণ গেছে।

দীর্ঘ প্রায় ১০ ঘণ্টা পর জিম্মি চারজনকে মুক্ত করা হয়। স্থানীয় সময় গত শনিবার ঘটনাস্থলে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর টুইট বার্তায় টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেছেন, সংকটের অবসান ঘটেছে। সব জিম্মি জীবিত ও নিরাপদে আছেন। দীর্ঘ জিম্মি নাটকের বিষয়ে টেক্সাসের কোলিভিল শহরের পুলিশপ্রধান মিশেল মিলার বলেন, জিম্মি উদ্ধারকালে বন্দুকধারী মারা গেছেন। এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। কিন্তু তিনি কবে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, সেটা জানা যায়নি।

এদিকে সন্দেহভাজন অপহরণকারী আকরামের ভাই গুলবার এ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, নর্থ ইংল্যান্ডের ব্ল্যাকবার্নের বাসিন্দা তাঁরা। তাঁর ভাই মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাগা রাতে ব্ল্যাকবার্নের থানায় বসে থেকে আকরামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন।

এদিকে গতকাল রাতে যুক্তরাজ্যের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের পুলিশ বলেছে, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলা পর্যন্ত তারা আটক থাকবে।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। এ ছাড়া একে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।