ট্রাম্পকে অভিশংসন করতে নানা কৌশল

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব স্থানীয় সময় আজ সোমবারই কংগ্রেসে উপস্থাপন হতে পারে। তবে কৌশল হিসেবে এমন অভিশংসন সিনেটে পাঠানোর জন্য অপেক্ষা করা হবে। কংগ্রেসে উপস্থাপন করা অভিশংসন প্রস্তাব বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন পরে সিনেটে উপস্থাপনের ব্যাপারে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেবেন। ক্ষমতা নেওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে অনেক কাজ সম্পন্ন করতে জো বাইডেন আগাম প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন। এসব কার্যক্রমকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করতে চান না ডেমোক্র্যাটরা।
কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সিএনএনকে বলেছেন, অভিশংসন প্রস্তাব ১০০ দিন পর সিনেটে পাঠানোর ব্যাপারে তিনি এবং স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আলোচনা করছেন।

ডেমোক্র্যাট হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির নেতা মিচ ম্যাককনালকে দক্ষ আইনপ্রণেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, মিচ ম্যাককনাল কৌশলে নতুন প্রশাসনকে বাধাগ্রস্ত করতে সব ধরনের চেষ্টা করবেন। ক্লাইবার্ন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকেও কংগ্রেসের রাজনীতিতে দক্ষ খেলোয়াড় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পেলোসি ঠিকই জানেন, কখন কী করতে হবে।

গত বুধবার ক্যাপিটল হিলে হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে। অপসারণের একাধিক বিকল্প নিয়ে কাজ করছেন আইনপ্রণেতারা। প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা, এমনকি রিপাবলিকান পার্টির লোকজনও ট্রাম্পকে স্বেচ্ছায় সরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দিক থেকে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগের বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে। মার্কিন সংবিধানের এই সংশোধনীতে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা পরিচালনার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন করবেন। এ নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এখনো ইতিবাচক কোনো কিছু বলেননি। ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানানো হবে।

মাইক পেন্স এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে এখনো সম্মতি না জানানোয় প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটে সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমারের পক্ষ থেকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরুর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ডেমোক্রেটিক পার্টি আজ সোমবারই এ ধরনের পদক্ষেপ আনুষ্ঠানিকভাবে নিতে পারে। মঙ্গল বা বুধবারই তা কংগ্রেসের বাকি পদক্ষেপের জন্য আলোচনায় আসতে পারে।

দমে যাওয়ার লোক নন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারসহ সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বলছেন, তিনি নিজেই এমন একটা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলবেন। এ নিয়ে তিনি অন্যান্য সাইটের সঙ্গে আলাপ করছেন। তারপর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।

২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দেশের দক্ষিণের সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করবেন। কংগ্রেসের কোনো অনুমোদন ছাড়াই নিরাপত্তা বাজেট থেকে তিনি প্রায় ৪০০ মাইল দীর্ঘ দেয়াল নির্মাণ করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার টেক্সাস সীমান্তে নিজের নির্মাণ করা দেয়াল পরিদর্শনে যাবেন ট্রাম্প।