ট্রাম্পের কথাবার্তায় আড়ি পাতার ইঙ্গিত

গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ‘সম্ভবত’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোনে আড়ি পেতেছিলেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটির প্রধান ডেভিন নুনেস গত বুধবার বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশেই তা করা হয়েছিল কি না বা স্বয়ং ট্রাম্প এ আড়ি পাতার লক্ষ্য ছিলেন কি না, তার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
৪ মার্চ টুইটারে এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, নির্বাচনের প্রচারণার সময় তাঁর বহুতল ভবন ট্রাম্প টাওয়ারে আড়ি পাতার নির্দেশ দিয়েছিলেন বারাক ওবামা। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎকালীন প্রধানেরা প্রথম থেকেই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ওবামাও এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে নিজের তোলা অভিযোগে অনড় থেকে যান ট্রাম্প। সেই সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসে এ ব্যাপারে তদন্তেরও আহ্বান জানান। এই তদন্তে প্রধান করা হয় প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির প্রধান ডেভিন নুনেসকে। ট্রাম্পের প্রচার কমিটির সঙ্গে রাশিয়ার কোনো যোগসূত্র ছিল কি না, তাও তদন্ত করছেন তিনি।
পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানানোর পর হোয়াইট হাউসের সামনে বুধবার সাংবাদিকদের নুনেস বলেন, ট্রাম্পের টেলিফোনে সম্ভবত গত বছরের শেষ দিকে আড়ি পাতা হয়েছিল। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্দেশেই তা করা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত নয়। নুনেস বলেন, বিদেশি গোয়েন্দাদের তৎপরতা চিহ্নিত করতে আদালতের নির্দেশে নজরদারির অংশ হিসেবে হয়তো ট্রাম্পের ফোনে আড়ি পাতা হয়।
গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটির প্রধান আরও বলেন, ট্রাম্পের যেসব কথাবার্তায় আড়ি পাতা হয়েছে, সেগুলো রাশিয়া-সংশ্লিষ্ট ছিল না। তথ্যগুলো গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। তবে গোয়েন্দা তথ্য হিসেবে এসবের গুরুত্ব ‘খুব সামান্য বা আদৌ নেই’। নুনেস বলেন, সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে এবং তাঁর অন্তর্বর্তী দল গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিল এটা পরিষ্কার। তবে নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আইন ভেঙেছেন।
পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বলেন, তদন্তকারীরা যে সত্য উদ্ঘাটন করেছেন, তাকে তিনি সাধুবাদ জানান।
গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে বিজয়ী হন ট্রাম্প। এরপর গত ২০ জানুয়ারি দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।