তিন বাংলাদেশির ক্যাবে ভাঙচুর

ভাঙচুর হওয়া গাড়ি
ছবি: রুদ্র মাসুদ

নিউইয়র্ক নগরে কুইন্সের ওজোন পার্কে তিনজন বাংলাদেশির ক্যাব (টিএলসি) ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৪ এপ্রিল রাতের কোনো এক সময় ওজোন পার্কের ১০১ অ্যাভিনিউয়ের ৮২ স্ট্রিট থেকে ৮১ স্ট্রিটের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। তবে একই স্থানে পার্কিং করা অন্য গাড়িতে কোনো ভাঙচুর হয়নি।

২৫ এপ্রিল দুপুরে গাড়ির মালিকেরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকেরা বলছেন, এটা বিদ্বেষপ্রসূত হামলা। এর আগেও তাঁরা এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশিদের টিএলসি গাড়িতেই এই ঘটনা ঘটে, অন্য গাড়িতে নয়। ঘটনার পর খবর দিলে পুলিশ আসে কিন্তু প্রতিকার হয় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী একজন বাসিন্দা বলেন, ২৫ এপ্রিল সকালে তিনি দেখেন চারটি টিএলসি গাড়ির কাচ ভাঙা। গাড়ির ভেতরে তছনছ করা। পাশের অন্য গাড়ি অক্ষত ছিল।

ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়ির মালিক আবদুল বাতেন বলেন, ২৪ এপ্রিল রাত নয়টার দিকে তিনি টয়োটা ক্যাম্বরি গাড়িটি পার্কিং করে যান। ২৫ এপ্রিল দুপুরে পরিচিত একজন গাড়ির কাচ ভাঙা দেখে তাঁকে খবর দেন। দুর্বৃত্তরা কাচ ভেঙে, দরজা খুলে গাড়ির ভেতর কাগজপত্র, এয়ার পাইপ এবং চালকের পেছনে প্রতিস্থাপন করা করোনা প্রতিরোধক শেডটি তছনছ করে ফেলেছে।

বাতেন আরও বলেন, পাঁচ মাস আগে একই কায়দায় ৯৭ অ্যাভিনিউ ও ৮১ স্ট্রিটে বাসার সামনে পার্কিং করা গাড়িতে একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছিল। তখন পুলিশও এসেছিল, কিন্তু সমাধান হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত আরেকটি গাড়ির মালিক ব্রঙ্কসের মো. কাওসার। তিনিও ২৪ এপ্রিল রাতে বাসার সামনে গাড়ি পার্কিং করে গিয়েছিলেন। পরদিন দুপুর দুইটার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখেন গাড়ির কাচ ভাঙা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব ঘটনা বিদ্বেষ থেকে হয়েছে।

মুনির নামেও এক বাংলাদেশির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তিনি বলেন, একই কায়দায় গত তিন বছরে পাঁচবার তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হলো। প্রথম দিকে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু কোনো ফল না পাওয়ায় এখন আর পুলিশকে বলেন না।

ওজোন পার্কে বাংলাদেশিদের বসতি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধও। করোনার প্রকোপের কারণে এসব কিছুটা কম ছিল। এদিকে নিয়মিত পুলিশের টহল, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশের আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং স্থানীয়ভাবে সিটিলাইন কমিউনিটি পেট্রল সদস্যদের ব্যাপক নজরদারির পরও বিক্ষিপ্ত এসব ঘটনায় কমিউনিটিতে উদ্বেগ বাড়ছে।