নিউইয়র্কে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

দুই দলের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় নিউইয়র্ক পুলিশকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্কে আগমনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বিএনপি। অন্যদিকে, সমঝোতার প্রস্তাব দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের পক্ষে ও বিপক্ষে কর্মসূচি পালনকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে দুই দলের নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে আহত হন যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট তরিকুল্লাহ চৌধুরী দীপু, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী ও বিএনপির নেতা ফরিদ উদ্দিন। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় নিউইয়র্ক পুলিশকে।

এ ঘটনায় তরিকুল্লাহ চৌধুরী দীপু বাদী হয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জ্যাকসন হাইটসের স্থানীয় প্রিসিঙ্কটে মামলা করেছেন। মামলায় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দিকে মামলার প্রেক্ষিতে ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের নেতারা। বিদেশের মাটিতে শান্তি চান উল্লেখ করে মামলা প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার জন্য বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানান তাঁরা।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘তাঁরা আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন। তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। তবে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মামলা করেনি। যারা আহত হয়েছেন তাঁরাই মামলা করেছেন।’

এদিকে সংঘর্ষ ও মামলা দায়েরের ঘটনায় জ্যাকসন হাইটসে বাঙালি পাড়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় এ দুই দলের নেতা-কর্মীরা আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।