নিউইয়র্কে করোনা নিয়ন্ত্রণে

করোনাভাইরাস

ব্যাপক হারে টিকাদান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার কারণে নিউইয়র্ক ও আশপাশের অঙ্গরাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এ কারণে নিউইয়র্ক নগর এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য নিউজার্সিতে রেস্তোরাঁর ভেতরে বসে খাওয়ার কড়াকড়ি আদেশ শিথিল করা হয়েছে। রেস্তোরাঁর ভেতরে বসে খাওয়ার সক্ষমতা আগের ৩৫ শতাংশ থেকে উন্নীত করে ৫০ শতাংশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

১৯ মার্চ থেকে নিউইয়র্ক নগর ও নিউজার্সির রেস্তোরাঁগুলোতে ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ মানুষ একসঙ্গে ভেতরে বসে খাওয়া–দাওয়া করতে পারবে। রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ও ফিল মারফি দুই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এই ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ জানাতে গিয়ে নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেন, ‘নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে আমরা বিজ্ঞান ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নিই। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক যে, বিগত কয়েক দিনে নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে।’

কুমো আরও বলেন, ‘এভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকলে ও টিকাদানের সংখ্যা বাড়াতে থাকলে আমরা একসঙ্গে এই অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে একসঙ্গে টানেলের শেষপ্রান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হব।’

বিগত বছরের ডিসেম্বরের দিকে নিউইয়র্কে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো রেস্তোরাঁর ভেতরে বসে খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে আবার ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রেস্তোরাঁর ধারণ ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহককে ভেতরে বসে খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তাই করোনা মহামারি শুরুর পর নিউইয়র্ক নগরের রেস্তোরাঁগুলোতে এবারই প্রথম একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভেতরে বসে খাওয়ার বা ইনডোর ডাইনিংয়ের অনুমতি দেওয়া হল।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অন্যান্য শহরে যেসব রেস্তোরাঁর ভেতর এখন ৫০ শতাংশ লোকসমাগমের অনুমতি আছে, সেসব রেস্তোরাঁর ধারণক্ষমতা ৭৫ শতাংশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার পর রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করায় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ খুশি হলেও কর্মীদের ধারণা, ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করায় করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা মনে করে, এখন যারা ভেতরে বসে খেতে আসে, তাদের বেশির ভাগই শুরু থেকে করোনাকে গুরুত্ব সহকারে না নিয়ে অবহেলা করেছে।