নিউইয়র্কে বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণের নির্দেশে আদালতের স্থগিতাদেশ

নিউইয়র্কে করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, স্কুল-শিক্ষকসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজে উপস্থিতির জন্য টিকা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যকর্মী ও স্কুলশিক্ষকদের এক পক্ষ এ নিয়ে মামলা করার পর রাজ্যের এক ফেডারেল আদালত বাধ্যতামূলক টিকা প্রদানের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।

ধর্মীয় ও অন্য কারণ দেখিয়ে মামলার আবেদনে বলা হয়েছে টিকা গ্রহণের জন্য রাজ্য বা নগর কর্তৃপক্ষ কাউকে বাধ্য করতে পারে না। এ নিয়ে পূর্ণ শুনানি হবে ২২ সেপ্টেম্বরে। সেই পর্যন্ত টিকা বাধ্যতামূলক করার জন্য রাজ্যের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন ফেডারেল বিচারক।

নিউইয়র্ক নগরীর বৃহত্তম কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হেনরি গেরিও আদালতের এ আদেশকে তাদের বিজয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য সতর্কতার জন্য টিকা গ্রহণে কর্মচারীরা উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তবে চাকরির শর্ত হিসেবে টিকা গ্রহণকে বাধ্যতামূলক করার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে আদালতের সাময়িক নির্দেশনা থাকার পরও নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নগরীর সব কর্মচারীদের কাজে যোগদানের জন্য টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নিয়ে তাদের অবস্থানে এখনো অনড় আছেন। মেয়র বলেন, আদালতে ২২ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের কথা শোনা হবে। সেখানে জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য নগর ও রাজ্য কর্মীদের টিকা প্রদানের বিষয়টির আইনগত যথার্থতা তুলে ধরা হবে।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, বহু ধর্মবিশ্বাসী মনে করছেন, করোনার টিকা সংক্রমণ রোধে সঠিকভাবে কার্যকর নয় এবং মারাত্মক প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। ফলে এসব টিকা গ্রহণে অনিচ্ছুক লোকজনের ওপর রাষ্ট্র বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে পারে না বলে তারা মামলার আবেদনে বলেছেন।

নিউইয়র্কের রাজ্য গভর্নর ক্যাথি হকুল বলেছেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ একটি প্রমাণিত ব্যবস্থা। টিকা নেওয়ার ফলে কোনো বিশ্বাসের লঙ্ঘন হয় কি না, এ নিয়ে নিজের অজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন রাজ্য গভর্নর।