পারিবারিক ভিসা আবেদনের ইতিবৃত্ত
ব্যারিস্টার সৈয়দ আফতাব আহমেদ
মার্কিন নাগরিক ও গ্রিন কার্ডধারীর ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান (আইআর ২ এবং এফ ২ এ)
প্রথমে বিবেচনায় নিতে হবে আপনার সন্তানের জন্ম আপনি মার্কিন নাগরিক হওয়ার আগে নাকি পরে হয়েছে। আপনি মার্কিন নাগরিক হওয়ার আগেই জন্মগ্রহণ করা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসবাসরত ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান আপনি মার্কিন নাগরিক হওয়ার পরে আপনার ইমিডিয়েট রিলেটিভ হিসেবে গ্রীণকার্ড পেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ভিসা নম্বর সব সময় তাৎক্ষণিক থাকে। কিন্তু আপনি গ্রীনকার্ডধারী হলে, আপনার ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান গ্রীনকার্ড পাবে আপনার পারিবারিক সদস্য (এফ২ এ) হিসেবে, ইমিডিয়েট রিলেটিভ (আইআর২) হিসেবে নয়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক অভিবাসীকে সুযোগ দেওয়া হয় তাই ভিসা নম্বর পেতে অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে এই অপেক্ষার সময় হলো ২ বছর। আপনি মার্কিন নাগরিক হলে আপনাকে ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানের জন্য স্বতন্ত্র আই-১৩০ ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে অর্থাৎ আপনার স্বামী বা স্ত্রীর জন্য যদি একই সময়ে আবেদন করেনও সেই আবেদনে সে সংযুক্ত থাকবে না। প্রত্যেক সন্তানের জন্য পৃথক আবেদন করতে হবে যার প্রতিটির ফি হবে ৫৩৫ ইউএস ডলার। কিন্তু আপনি গ্রিন কার্ডধারী হলে ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সব সন্তানের ও আপনার স্বামী বা স্ত্রীর জন্য আবেদন একই সঙ্গে একই ফরমে ৫৩৫ ইউএস ডলার ফি দিয়ে জমা দিতে হবে।
মার্কিন নাগরিক হিসেবে যদিও আপনি ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানকে (আইআর২) ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারবেন, কিন্তু আপনার সন্তান ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে এই ক্যাটাগরিতে গ্রিন কার্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসলে চাইল্ড সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ২০০০ এর আওতায় সেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পরপরই নাগরিক হওয়ার যোগ্য হবে। এ ক্ষেত্রে তার নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য এন-৬০০ ফরমের মাধ্যমে এবং পাসপোর্টের জন্য ডিএস-১১ ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য এন-৬০০ ফরম জমা দেওয়ার ফি ১১৭০ ইউএস ডলার হলেও আপনার বাৎসরিক হাউসহোল্ড ইনকাম যদি ইউএস ফেডারেল পোভার্টি গাইড লাইনের ১৫০% এর কম হয় অথবা আপনি যদি মেডিকেইড, ফুড স্টাম্প বা হাউজিংয়ের মতো কোনো একটি সুবিধা পান তাহলে আপনার সন্তানের নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য এন-৬০০ ফরম বিনা মূল্যে জমা দিতে পারবেন। ১৬ বছরের বেশি বয়সী সন্তানের পাসপোর্টের জন্য ডিএস-১১ ফরম জমা দেওয়ার ফি হবে ১৩৫ ইউএস ডলার আর ১৬ বছরের কম বয়সী সন্তানের জন্য এই ফি হবে ১০৫ ইউএস ডলার।
আপনি মার্কিন নাগরিক হলে আপনার ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান ইতিমধ্যে যেকোনো বৈধ বা অবৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে তার জন্য আপনাকে ৫৩৫ ইউএস ডলার ফি দিয়ে ফরম আই-১৩০ জমা দেওয়ার সময় একই সঙ্গে ১৪ বছরের কম বয়সী সন্তানের জন্য ৭৫০ ইউএস ডলার ও ১৪ বছরের বেশি বয়সী সন্তানের জন্য ১১৪০ ইউএস ডলার ফি দিয়ে ফরম আই-৪৮৫ জমা দিতে হবে। আর আপনি গ্রিন কার্ডধারী হলে আপনার ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান ইতিমধ্যে শুধু বৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে ফরম আই-১৩০ অনুমোদন হওয়ার পরে (একত্রে নয়) ফরম আই-৪৮৫ জমা দিতে হবে।
আপনি মার্কিন নাগরিক হওয়ার পরে যদি আপনার সন্তানের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও হয় তাহলেও সে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হবে এবং ইউএস পাসপোর্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সন্তানের বসবাসের নিকটস্থ কনস্যুলেট অফিসে (পাঠকেরা বাঙালি হওয়ায় ধরে নিচ্ছি ঢাকায়) ডিএস-২০২৯ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ডিএস-৩০৫৩ ও ডিএস-৫৫২৫ ফরমের মাধ্যমে কনস্যুলার রিপোর্ট অব বার্থ অ্যাব্রোড (সিআরবিএ) আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আপনাকে সন্তানের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই করতে হবে। একই সঙ্গে আপনি ডিএস-১১ ফরমের মাধ্যমে সন্তানের জন্য ইউএস পাসপোর্টের আবেদনও করতে পারেন। শুধু সিআরবিএর জন্য আবেদন করলে ১০০ ইউএস ডলার, আর সিআরবিএ এবং পাসপোর্টের জন্য একত্রে আবেদন করলে মোট ২০৫ ইউএস ডলার ফিসহ নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে সন্তানসহ আপনাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনকে অথবা অন্তত একজনকে কনস্যুলেট অফিসে হাজির হতে হবে।
বাংলাদেশে সাধারণত সন্তানের জন্মের আগেই তার বাবা-মায়ের বিয়ে হয়। এ ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের পরপরই নাগরিক হিসেবে গণ্য হওয়ার যোগ্য হতে হলে পিতামাতার যেকোনো একজন যদি মার্কিন নাগরিক হয় তবে তাকে সন্তানের জন্মের আগে সব মিলিয়ে পাঁচ বছর ইউএসএতে বসবাস করতে হবে, তবে পিতামাতা দুজনই মার্কিন নাগরিক হলে তাদের সন্তানের জন্মের আগে সব মিলিয়ে পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস না করলেও চলবে। কিন্তু কোনো কারণে আপনাদের সন্তানের জন্ম যদি ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনাদের বিবাহের আগে হয়, সেক্ষেত্রে তাকে বিবাহবহির্ভূত সন্তান হিসেবে গণ্য করা হবে। ওই সন্তানের বাবা মার্কিন নাগরিক হলে তাকে সন্তানের জন্মের আগে সব মিলিয়ে পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে, আর মা মার্কিন নাগরিক হলে তাকে সন্তানের জন্মের আগে এক বছর একটানা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। এই ক্যাটাগরিতে মার্কিন নাগরিকের স্টেপ চাইল্ড অর্থাৎ মার্কিন নাগরিকের স্বামী বা স্ত্রীর আগের বিবাহের সন্তানও গ্রীন কার্ড পেতে পারে।
মার্কিন নাগরিক ও গ্রিন কার্ডধারীর বাবা-মা (আইআর৫)
গ্রিন কার্ডধারী তার বাবা-মায়ের জন্য আবেদন করতে না পারলেও এই ক্যাটাগরিতে ২১ বছরের বেশি বয়সী মার্কিন নাগরিকের বাবা-মা অথবা সৎ মা-বাবা গ্রিন কার্ড পেতে পারেন। মনে রাখতে হবে বাবা-মার জন্য যৌথভাবে একটি আবেদন করলে সেটা ভুল হবে। বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকলে তাদের প্রত্যেকের জন্য পৃথকভাবে ৫৩৫ ইউএস ডলার ফিসহ আই-১৩০ ফরম জমা দিতে হবে। আর বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বৈধ বা অবৈধ যেকোনোভাবে থাকলে তাদের প্রত্যেকের জন্য পৃথকভাবে ৫৩৫ ইউএস ডলার ফিসহ আই-১৩০ ফরমের সঙ্গে ১১৪০ ইউএস ডলার ফিসহ আই-৪৮৫ ফরম জমা দিতে হবে। আপনি যখন বাবা-মার জন্য আবেদন করবেন, তখন আই-১৩০ ফরমে আপনার যেকোনো বয়সী বিবাহিত/অবিবাহিত সব ভাই-বোনের নাম উল্লেখ করতে হবে। ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত ভাই-বোন থাকলে তারা আপনার বাবা-মায়ের পরোক্ষ সুবিধাভোগী হিসেবে তাদের সঙ্গে একত্রে আসতে পারবে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, বাবা-মার জন্য এই আবেদন জমা দেওয়ার সময় ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত ভাই-বোন আবেদন অনুমোদন হওয়ার আগেই ২১ বছর পেরিয়ে গেলে তারা কি আপনার বাবা-মার সঙ্গে একত্রে আসতে পারবে?
এ সকল ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্যই চাইল্ড স্ট্যাটাস প্রোটেকশন অ্যাক্ট (সিএসপিএ) নামে একটি আইন ২০০২ সাল থেকে কার্যকরী হয়। ধরা যাক, আপনার ভাই/বোনের জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৯৮৯ সাল। আপনি মার্কিন নাগরিক হিসেবে তার বয়স ২১ হওয়ার আগে আপনার বাবা-মার জন্য আবেদন করেছেন এবং তার প্রায়োরিটি তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০। আপনার বাবা-মার জন্য ভিসা পাওয়া হয়েছে জুলাই ২০১২ এর ভিসা বুলেটিনে। আপনাকে প্রথম নির্ণয় করতে হবে ১ জুলাই ২০১২ তে আপনার ভাই/বোনের বয়স কত হলো। হিসেব করলে দেখা যাবে সেদিন তার বয়স হয়েছে ২২ বছর ৭ মাস ১ দিন। এবার আপনার ভাই-বোনের বয়স থেকে অ্যাপ্লিকেশন পেন্ডিং থাকার সময়টা অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ থেকে ১ জুলাই ২০১২ পর্যন্ত সময়টা হিসেব করে বাদ দিতে হবে যেটা কিনা ২ বছর ৪ মাস এবং ১৬ দিন। কাজেই চাইল্ড স্ট্যাটাস প্রোটেকশন আইনে আপনার ভাই/বোনের বয়স হবে আনুমানিক ২০ বছর ৩ মাস, যা কিনা ২১ বছরের কম হওয়ায় সে সিএসপিএ এর আওতায় আপনার বাবা-মায়ের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবে।
মার্কিন নাগরিক ও গ্রিন কার্ডধারীর ২১ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিত সন্তান (এফ ১ ও এফ২ বি) এবং বিবাহিত সন্তান ও ভাই-বোন (এফ ৩ ও এফ৪)
এই চার ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হলে যার জন্য আবেদন করা হলো সে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে অবৈধভাবে অবস্থানকারী হতে পারবেন না। অর্থাৎ তাকে আবেদন অনুমোদন হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অথবা বৈধভাবে ভেতরে অবস্থান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, গ্রিন কার্ডধারী তার বিবাহিত সন্তানকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে না পারলেও মার্কিন নাগরিক তার বিবাহিত সন্তানকে এফ ৩ ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারেন। ঠিক একইভাবে, গ্রিন কার্ডধারী তার কোনো ভাই-বোনের জন্য আবেদন করতে না পারলেও ২১ বছরের বেশি বয়সী মার্কিন নাগরিক তার যেকোনো বয়সী ভাই-বোনকে এফ ৪ ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারেন। মার্কিন নাগরিকের বিবাহিত সন্তান ও ভাই-বোনের জন্য করা আবেদনে তাদের স্বামী-স্ত্রী ও সব বয়সী বিবাহিত-অবিবাহিত সন্তানের তথ্য উল্লেখ করতে হবে এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানের বেলায় উপরে বর্ণিত সিএসপিএর নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রেও যেহেতু প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক অভিবাসীকে সুযোগ দেওয়া হয় তাই ভিসা নম্বর পেতে অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে এই অপেক্ষার সময় হলো এফ ১-সাত বছর, এফ২বি-৬ বছর, এফ ৩-১২ বছর, এফ ৪-১৩ বছর।
উপরে বর্ণিত সকল আবেদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফরমের সঙ্গে প্রযোজ্য অনুযায়ী যার জন্য আবেদন করা হয়েছে তার/তার স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট/ম্যারেজ সার্টিফিকেট/নিকাহনামা/পূর্বে বিবাহ থাকলে বিচ্ছেদের ধরন অনুযায়ী ডিভোর্স বা ডেথ সার্টিফিকেট/বিয়ের সময়ের ছবি/একত্রে পারিবারিক ছবি/বাংলাদেশের পাসপোর্ট, আপনার ন্যাচারালাইজেশন সার্টিফিকেট/সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট/আনএক্সপায়ার্ড ইউএস পাসপোর্ট/গ্রিন কার্ড, আপনার/সন্তানের/ বাবা-মায়ের/ভাই-বোনের বাংলাদেশের পাসপোর্ট, সকলের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া কোনকোন ক্ষেত্রে যার জন্য আবেদন করা হয়েছে তার জন্ম দেখেছে এমন পৃথক দুজন ব্যক্তির কাছ থেকে তার নিজের এবং আপনার ও যার জন্য আবেদন করা হয়েছে তার নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে জন্মের সাক্ষী হিসেবে অ্যাফিডেভিট, যার জন্য আবেদন করা হয়েছে তাকে কখনো টাকা পাঠালে সেই মানি রেমিট্যান্স রিসিপ্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যু করা তার বাবা-মায়ের নাম উল্লেখ রয়েছে এমন চিঠি/সার্টিফিকেট, তাকে ডিপেন্ডেন্ট দেখিয়ে ফাইল করা ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। উপরে বর্ণিত কোনো কাগজপত্রের ফটোকপি বা ইংরেজি অনুবাদ জমা দিলে সেটা নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই আর্টিকেল কোনোরকম আইনি পরামর্শ নয়। এটি কেবলমাত্র ইউএসসিআইএস এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত এ সংক্রান্ত তথ্যের সন্নিবেশ মাত্র।
লেখক: ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল, নিউইয়র্ক প্রবাসী, সেল: (৯২৯) ৩৯১-৬০৪৭; ইমেইল: expa.expe@gmail.com
>ভিসা সম্পর্কিত বার্তা
ভিসা ও চাকরিভিত্তিক ভিসা ইস্যুর বার্ষিক সংখ্যা কংগ্রেসের হাতে নিয়ন্ত্রিত। অগ্রাধিকার তারিখ হালনাগাদ থাকলে ও পর্যাপ্ত ভিসা থাকলে এই শ্রেণির ভিসার আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। অগ্রাধিকার তারিখের পরিবর্তন হওয়ার ও সাক্ষাৎকারের সময় ভিসার সংখ্যা পর্যাপ্ত নাও থাকতে পারে। আপনার ক্যাটাগরির ভিসার সংখ্যা যদি বর্তমান না থাকে তবুও আপনার সাক্ষাৎকার যথাসময়ে হবে, তবে আপনার ভিসা তত দিন পর্যন্ত ইস্যু হবে না, যত দিন পর্যন্ত অগ্রাধিকার তারিখ হালনাগাদ হয় এবং নতুন ভিসার সংখ্যা আবার পর্যাপ্ত হয়। অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীরা তাদের অগ্রাধিকার তারিখের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট ভিসা বুলেটিন দেখতে পারেন। বর্তমান অগ্রাধিকারভিত্তিতে যেসব তারিখের কাজ চলছে:
মাস: জুন ২০১৮
F1: ০৮ এপ্রিল ২০১১: (আমেরিকান নাগরিকদের অবিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F2A: ০৮ জুন ২০১৬: (এলপিআর ব্যক্তিদের স্বামী বা স্ত্রী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
FX: ০৮ মে ২০১৬: (F2A কেইসে যাদের অগ্রাধিকার তারিখ পুরোনো)
F2B: ২২ জুন ২০১১: (এলপিআর ব্যক্তিদের অবিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F3: ১৫ মার্চ ২০০৬: (মার্কিন নাগরিকদের বিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F4: ২২ অক্টোবর ২০০৪: (মার্কিন নাগরিকদের ভাই/বোন ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
E3: চলতি: (দক্ষ কর্মী ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
EW: চলতি: (অদক্ষ কর্মী ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)