বিমানবালাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার মাস্কের

স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ধনকুবের ইলন মাস্ক টেসলারও প্রধান নির্বাহী। এখন তিনি টুইটার কিনতে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন
ছবি: রয়টার্স

বিমানবালাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তিনি ২০১৬ সালে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ওই বিমানবালাকে যৌন হয়রানি করেন বলে একটি পত্রিকার খবরে জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়ে টুইটে মাস্ক জানান, এমন অভিযোগ ‘চরম অসত্য’। খবর রয়টার্সের

এর আগে বৃহস্পতিবার বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে এক বিমানবালাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ২০১৮ সালে আড়াই লাখ ডলারে রফা করেছিল তাঁর রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। ওই বিমানবালা অভিযোগ করেছিলেন মাস্ক তাঁর প্রতি অশালীন ইঙ্গিত করেছেন।

প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির উদ্ধৃতি দেওয়া হয়। তিনি নিজেকে ওই বিমানবালার বন্ধু বলে পরিচয় দেন। ওই বন্ধুকে উদ্দেশ করে টুইটে মাস্ক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি তাঁর অভিযোগের বিষয়ে ওই বন্ধুকে প্রমাণ দিতে বলেন।

বিজনেস ইনসাইডারের দাবি খতিয়ে দেখতে পারেনি রয়টার্স। জানতে চাইলে বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন অথবা মাস্কের টুইটের বিষয়ে মাস্ক ও স্পেসএক্স রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।

বিজনেস ইনসাইডারের দাবি, মাস্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই বিমানবালার স্পেসএক্সে কাজ করার সুযোগ নষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ২০১৮ সালে এ ঘটনায় একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে হয়।

বিজনেস ইনসাইডার বলেছে, স্পেসএক্স আদালতের বাইরে অভিযোগটি মীমাংসা করে। ওই বিমানবালা যাতে বাইরে এ বিষয়ে কথা না বলেন, সে জন্য গোপনীয়তার চুক্তিও এতে যুক্ত করা হয়।

স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাস্ক টেসলারও প্রধান নির্বাহী। এখন তিনি টুইটার কিনতে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বুধবার মাস্ক বলেন, তিনি ডেমোক্র্যাটদের পরিবর্তে রিপাবলিকানদের ভোট দেবেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এরপর আমার বিরুদ্ধে নোংরা প্রচারণা–কৌশল চালানো হবে।’

বিজনেস ইনসাইডারকে মাস্ক বলেন, বিমানবালাকে নিয়ে প্রতিবেদন ‘রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত একটি হিট কাহিনি’। ‘এই কাহিনিতে আরও অনেক কিছু’ যোগ করার ছিল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাস্ক প্রথম টুইটে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আক্রমণ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত। এটি তাদের আদর্শ (ঘৃণ্য) রাজনৈতিক কৌশল। কিন্তু একটি ভালো ভবিষ্যৎ ও আপনাদের বাক্‌স্বাধীনতার জন্য লড়াই থেকে কিছুই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।’ এই টুইটে তিনি বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনের বিষয়টি আলাদাভাবে উল্লেখ করেননি।

পরে আরেকটি টুইটে মাস্ক বলেন, ‘এই অভিযোগ চরম অসত্য।’ এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য টুইটার অধিগ্রহণে হস্তক্ষেপ করা বলেও তিনি টুইটে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে তাৎক্ষণিক বিজনেস ইনসাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।