ব্রুকলিনে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা

এই কনস্যুলেট সেবা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা

ব্রুকলিনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ সরকারের সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা প্রদান করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডের নোয়াখালী ভবনে এই সেবা প্রদান করা হয়।

বেলা ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চার শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি এই সেবা গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্ক অফিসের কর্মকর্তাদের আন্তরিক সেবা এবং সোসাইটির কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় হাতের নাগালে প্রত্যাশিত সরকারি সেবা পেয়ে প্রবাসীরাও সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশ সোসাইটি ও বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইন্‌ক-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে এই কনস্যুলেট সেবা প্রদান করা হয়।

কনস্যুলেট সেবা কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। এ ছাড়া নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল চৌধুরী পারভীন সুলতানা, প্রথম সচিব মোহাম্মদ শামীম হোসেন, কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবির হোসেন, মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, মাসুমা আক্তারসহ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা দিনভর প্রবাসীদের এ সেবা প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবার মধ্যে ছিল—বাংলাদেশি পাসপোর্ট নবায়ন, নো ভিসা রিকোয়ার্ড সিল, অ্যালাইড সার্টিফিকেট প্রদান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংশোধন, জন্ম নিবন্ধন, বাংলাদেশি অন্যান্য সনদপত্রের সত্যায়ন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সত্যায়ন ও দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদন গ্রহণ ইত্যাদি।

করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা গ্রহণ করেন প্রবাসীরা। নোয়াখালী ভবন প্রাঙ্গণে কনস্যুলেট সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের নিবন্ধন, প্রয়োজনীয় ফরম সংগ্রহ, কনস্যুলেটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ডেস্ক দেখিয়ে দেওয়া এবং ফরম পূরণে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ও নোয়াখালী সোসাইটির নেতৃবৃন্দ।

সেবা কার্যক্রম সমন্বয় করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সহসভাপতি আবদুল খালেক, সদস্য মাইনুল উদ্দিন, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, সভাপতি নাজমুল হাসান, সেক্রেটারি জাহিদ মিন্টু, সাবেক সেক্রেটারি তাজু মিয়া, সহসম্পাদক ইউসুফ জাহাঙ্গীর, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট রুবেল আলীসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

মাঈনুল উদ্দিন বলেন, চার শতাধিক প্রবাসী এই সেবা পেয়েছেন। কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে অনেককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য কনস্যুলেট অফিসে যেতে কাজ বন্ধ করে ছুটি নিতে হয়। কিন্তু ছুটির দিনেও প্রবাসীদের সেবা প্রদান করতে কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তারা ছুটে এসেছেন।