মিয়ামিতে ভবনধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকায় ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকায় ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহত মানুষে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬। এদিকে দুর্ঘটনার ১২ দিন পর এখনো নিখোঁজ ১০৯ জন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবারও ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। মৌসুমি ঝড় ‘এলসা’র আঘাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

এলসা আজ বুধবার সকালে হ্যারিকেনে রূপ নিয়ে উত্তর ফ্লোরিডা উপসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার।
ঝড় এলসা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে মিয়ামি-ডাড শহরের মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা বলেন, এরই মধ্যে আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে পড়েছে। এ কারণে উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আবহাওয়ার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এদিকে ঝোড়ো বাতাসের কারণে ধ্বংসাবশেষ সরাতে বড় ক্রেনগুলোর সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বারকেট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ভবনটি ধসে পড়ার সময় বাসিন্দাদের বেশির ভাগ ঘুমাচ্ছিলেন। ধসে যাওয়া ওই ভবনের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা। ভবনটির মূল নকশায় ত্রুটি ছিল। ভবনের পার্কিংয়ে ফাটল রয়েছে। এ ছাড়া ভবনের পুলের নিচের স্ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এ ত্রুটির কারণে ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৮০ সালে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। প্রথমে এর অর্ধেক ইউনিট ধসে যায়। এরপর রোববার রাতে বাকি ইউনিটগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।

গত ২৪ জুন ১২ তলা ওই ভবন ধসে যায়। ঝড় আঘাত হানতে পারে—এমন ঝুঁকি থেকে রোববার বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবনের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে ১২৪ টন ধ্বংসাবশেষ সরানো হয়েছে।