রাশিয়ার ‘গোপন ফার্স্ট লেডির’ ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত বান্ধবী আলিনা কাবায়েভা পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়ার ‘গোপন ফার্স্ট লেডি’ হিসেবে পরিচিতছবি: এএফপি

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত বান্ধবী আলিনা কাবায়েভা পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়ার ‘গোপন ফার্স্ট লেডি’ হিসেবে পরিচিত। অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী ৩৮ বছর বয়সী সাবেক এই জিমন্যাস্টের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। খবর বিবিসির।

পুতিনের কথিত বান্ধবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছা করেই স্থগিত রেখেছে, এমন অভিযোগ গতকাল সোমবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে অস্বীকার করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।

কেন রুশ রাজনীতিক ও সাবেক জিমন্যাস্ট কাবায়েভাকে এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়নি, তা জানতে চাইলে সাকি বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টির পর্যালোচনা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের নিষেধাজ্ঞা থেকে কেউই নিরাপদ নয়।’

হোয়াইট হাউস সেক্রেটারি বলেন, ‘অবশ্য আমরা ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট পুতিন, তাঁর দুই মেয়ে ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। আরও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টির পর্যালোচনা অব্যাহত রাখব।’

পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী ৩৮ বছর বয়সী সাবেক এই জিমন্যাস্টের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি উঠেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।

নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে পুতিন খুবই গোপনীয়তা বজায় রাখেন। রাশিয়ার ‘গোপন ফার্স্ট লেডির’ সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কখনো স্বীকার করেননি তিনি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিন ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নিতে পারেন, এমন উদ্বেগ থেকে মার্কিন কর্মকর্তারা কাবায়েভার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, ‘পুতিনের প্রতি এটা একান্ত ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে মনে করা হবে। এটি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তাদের মিত্র দেশগুলো।

আর্থিক, ব্যবসায়িক ও সামরিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পাশাপাশি পুতিন, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদেরও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হচ্ছে।