রিপাবলিকানরা গভর্নর পেল ভার্জিনিয়ায়

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচিত রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী গ্রেন ইয়াংকিন।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী গ্রেন ইয়াংকিন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অঙ্গরাজ্যটির সাবেক গভর্নর ডেমোক্রেটিক দলের টেরি ম্যাকালিফিকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় নির্বাচন, যেটায় ডেমোক্র্যাটদের হারিয়ে জয় নিশ্চিত করছেন রিপাবলিকানরা।

স্থানীয় সময় আজ বুধবার ৯৫ শতাংশের বেশি ভোট গণনা হয়েছে। এতে রিপাবলিকান প্রার্থী গ্লেন ইয়াংকিন ২ দশমিক ৭ পয়েন্টে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। টেরি ম্যাকালিফি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভার্জিনিয়ার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। অন্যদিকে গ্লেন প্রথমবারের মতো নির্বাচনে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করলেন।

ভার্জিনিয়ায় ভোটের লড়াইয়ের হারকে ডেমোক্র্যাটদের জন্য এক বড় ধাক্কা মনে করা হচ্ছে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে জয় পেতে চায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—দুই শিবিরই। বিশেষত, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাজিমাত করে রিপাবলিকানদের ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই কারণে ভার্জিনিয়ায় জয় রিপাবলিকানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লেনে প্রচারণাকৌশলকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রচারণার উপায় হিসেবে দেখা হতে পারে।

অন্যদিকে ভার্জিনিয়ার নির্বাচনের ফলাফলকে ক্ষমতা নেওয়ার এক বছরের মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের নীতির প্রতি ভোটারদের অনাস্থা হিসেবে দেখছেন অনেকেই। কেননা, সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিল বাইডেনের ডেমোক্রেটিক দল। এমনকি ভার্জিনিয়ার বিদায় নিতে যাওয়া গভর্নর রাল্ফ নর্দাম নিজেও ডেমোক্রেটিক দলের। এই অঙ্গরাজ্যে পরপর দুবার কেউ গভর্নর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। এই কারণে এবারের নির্বাচনে রাল্ফের পরিবর্তে দলটি সাবেক গভর্নর টেরিকে প্রার্থী করে।

আরও পড়ুন

ভোটের লড়াইয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা গ্লেন ইয়াংকিন ভোটার-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার গতিপথ বদলে দেব। প্রথম দিন থেকেই আমাদের পরিবর্তনের এই যাত্রা শুরু হবে।’

আরও পড়ুন