লেখক সাংবাদিক সমাজের নিন্দা

কারাগারে বাংলাদেশি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন নিউইয়র্কপ্রবাসী বাংলাদেশি লেখক-সাংবাদিক সমাজ।

২ মার্চ এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মী লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারে আটক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লেখা ও কার্টুন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। এই কারণেই তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নির্যাতনমূলক কালাকানুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, গণমাধ্যম কর্মী, লেখক-শিল্পী, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষদের আটক করার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কালাকানুনটি প্রণয়নের সময় থেকেই আমরা এর অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছি। এখন এটি সরকারি মহলের যেকোনো পর্যায়ের ব্যক্তির ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা ও গুম। এই প্রক্রিয়ার সর্বশেষ শিকার লেখক মুশতাক আহমেদ।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষকে মর্মাহত করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামের কালাকানুন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষের প্রতি ভয়ভীতি পরিহার করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী লেখক ও সাংবাদিকেরা হলেন—বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঞ্জুর আহম্মেদ, প্রবীণ সাংবাদিক কাজী শামসুল, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মইনুদ্দিন নাসের, মুক্তিযোদ্ধা ও সাপ্তাহিক রানার-এর সম্পাদক জয়নুল আবেদিন, লেখিকা মিনা ফারাহ, জাস্ট নিউজ বিডির সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, সাপ্তাহিক প্রবাসের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ওয়ালিউল আলম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কনক সরওয়ার, লেখক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইমরান আনসারী প্রমুখ।