সলোমন দ্বীপপুঞ্জে ২৯ বছর পর দূতাবাস খুলছে যুক্তরাষ্ট্র

ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
ছবি: রয়টার্স

ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জে আবারও দূতাবাস খুলছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ শনিবার এই তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়ে বলেছে, ওশেনিয়া অঞ্চলে ক্রমশ চীনের প্রভাব বাড়ার মধ্যে অঞ্চলটিতে নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করছে ওয়াশিংটন।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রতিবেশী দেশ ফিজি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। ফিজি সফরে গিয়ে তিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন একটি দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেবেন। ২৯ বছর আগে হোনিয়ারায় কূটনৈতিক উপস্থিতি কমানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এল।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৩ সালে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী হোনিয়ারায় দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। এখন সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কনস্যুলেট রয়েছে। এই কনস্যুলেটের মাধ্যমে দেশটিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক পরিচালিত হয়। এ ছাড়া সলোমনের প্রতিবেশী দেশ পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণা আসার আগে গত বছরের নভেম্বরে আট লাখ বাসিন্দার এ দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সহিংস ও প্রাণঘাতী দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। তখন বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে হামলা-ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করেন। এরপর তাঁরা রাজধানী হোনিয়ারার চায়না টাউনের বেশির ভাগ অংশে আগুন ধরিয়ে তিন দিন ধরে তাণ্ডব চালান।

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও এক দ্বীপের সঙ্গে অপর দ্বীপের দ্বন্দ্বের ফলে তৈরি ক্ষোভ থেকে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী মানসেহ সোগাভারেকে উৎখাত করার লক্ষ্যেই দেশটিতে এই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে টানা কয়েক দিন ধরে চলা সহিংস এই বিক্ষোভে চীনবিরোধী মনোভাবও বড় ধরনের ভূমিকা পালন করেছিল।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে নতুন দূতাবাস চালু করতে হলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে মার্কিন কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউসের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে।