একজন নারী ও তাঁর মেয়েকে হত্যার অভিযোগে গত শনিবার গ্রেপ্তার হন হুগো। এপির খবরে বলা হয় এ হত্যার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। এক প্রতিবেশী ওই নারীর সাহায্য চেয়ে আকুতি শুনতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে গিয়ে ৫৭ বছরের ওই নারী ও তাঁর ২৬ বছরের মেয়েকে রক্তের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। মা-মেয়ের অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে তাঁদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে ওই ব্যক্তির নামে বিভিন্ন স্থানে থাকা সম্পদ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, যৌন হয়রানির দায়ে ২০০৫ সালে হুগো চাকরি হারান ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন।

নিহতদের মধ্যে ৭ বছরের এক মেয়ে শিশু এবং ২ ও ৯ বছরের দুই ছেলে শিশু রয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ির জায়গা থেকে আরও সাতটি কবরে পাওয়া লাশের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকার অন্তত ২৫ জন নিখোঁজ আছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস টুইটারে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজনকে দুই বছর আগে হত্যা করা হয়েছে। আট নারীসহ মোট ১৩ জনকে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আরও নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।