সীমান্ত পরিদর্শনে যাবেন ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশের অসংখ্য মানুষ চায়, তিনি যেন দক্ষিণের সীমান্ত সফর করেন। সীমান্তরক্ষী ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারাও তাই চান। এসব মানুষের প্রতি তাঁর দায় রয়েছে। তাই তিনি শিগগির নথিপত্রহীন অভিবাসীদের আগমনে বেসামাল সীমান্ত পরিদর্শনে যাবেন।
২৭ মার্চ রাতে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করে এসব কথা বলেছেন।
ট্রাম্প বলেন, তাঁর সময় সীমান্ত দিয়ে আসা লোকজনকে মেক্সিকোতে রেখে দেওয়া হতো। সেখান থেকেই তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার নিয়ম তিনি চালু করেছিলেন। তাঁর এ নিয়ম পাল্টে ফেলার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মারাত্মক ভুল করেছেন।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণের পর বলেছেন, তিনি সীমান্তে একটি মানবিক অবস্থার সৃষ্টি করবেন। নথিপত্রহীন অভিবাসীদের সঙ্গে আসা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের তাঁদের মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে না। পাশাপাশি ট্রাম্পের সময়ের করা আইনে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে অ্যাসাইলাম আবেদন করার নিয়ম বাতিল ঘোষণা করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর প্রণীত নিয়ম পাল্টানোয় এখন প্রতিদিন হাজারো মানুষ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। নথিপত্রহীন লাখো মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে দেশটিকে ধ্বংস করে দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উচিত হবে দ্রুততার সঙ্গে তাঁর প্রণীত নিয়মে ফিরে যাওয়া। সীমান্ত পথে আসা লোকজনকে মেক্সিকো থেকে আশ্রয়ের আবেদনের নিয়মে ফিরে যাওয়া। পাশাপাশি তাঁর শুরু করা সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ শেষ করার কথাও বলেছেন ট্রাম্প।
তাঁর প্রণীত নিয়ম পাল্টানোয় এখন প্রতিদিন হাজারো মানুষ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। নথিপত্রহীন লাখো মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে দেশটিকে ধ্বংস করে দেবে
এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগেই বলেছেন দক্ষিণ আমেরিকাসহ নানা দেশ থেকে লোকজনকে মেক্সিকো আর আশ্রয় দিচ্ছে না। এ নিয়ে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে প্রশাসনিক পর্যায়ে কথা হচ্ছে।
এর জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, মেক্সিকো আমাদের ওপর রেগে আছে। খারাপ সম্পর্ক করায় এমন হয়েছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই তখন সম্ভব হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২৫ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সীমান্তে এ সময়ে জনপ্রবাহ বাড়ার নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে করোনা মহামারি, দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে ব্যাপক কর্মহীনতা ও মন্দা অবস্থা চলছে; মানুষ ভাগ্যান্বেষণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং শীতকাল চলে যাওয়ায় লোকজন বেরিয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, সীমান্তের বর্তমান সমস্যার জন্য ট্রাম্পই দায়ী। তিনিও দক্ষিণের সীমান্ত সরেজমিনে দেখতে যাবেন। এর মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সীমান্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।