দুঃসাহসী বিজ্ঞানী যখন আবেদনময়ী মডেল

রোজি মুরের সারা দিন কাটে অজগর, হাঙর আর কুমিরসহ ভয়ংকর সব প্রাণীদের সঙ্গে।
ছবি: রোজি মুরের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

আমেরিকান টেলিভিশন সিরিজ হানা মন্টানা কথা মনে আছে! ২০০৬ সালে ডিজনি চ্যানেল প্রথম প্রচারিত হয় সিরিজটি। সিরিজের মূল বিষয়বস্তু একজন টিনএজারের দ্বৈত জীবন। সে দিনে স্বাভাবিক জীবন যাপন করলেও রাতে হানা মন্টানা নামে পপস্টার হিসেবে জীবন যাপন করে। তার এ জীবনের কথা পরিবার ও কাছের বন্ধু ছাড়া আর কেউ জানে না। ঠিক তেমনি এই প্রতিবেদন যাঁকে নিয়ে, সেই রোজি মুরও নিজেকে মাঝেমধ্যে হানা মন্টানার সঙ্গে তুলনা করেন।

রোজি মুরও তাহলে নিশ্চয়ই দ্বৈত জীবন যাপন করেন। হ্যাঁ, করেন। আর এই দুই জীবনেই তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। রোজির সারা দিন কাটে অজগর, হাঙর আর কুমিরসহ ভয়ংকর সব প্রাণীদের সঙ্গে। এসব প্রাণীদের মানুষ ভয়ে এড়িয়ে গেলেও, তিনি সানন্দে তাঁদের সঙ্গে থাকেন। বন, জল আর কোমরসমান কাদা মাড়িয়ে তিনি এই সব করলেও উল্টোদিকে তিনি একজন আবেদনময়ী মডেল। ইতিমধ্যে পেশাদার মডেল হিসেবেও তিনি নাম লিখিয়ে ফেলেছেন।

২৬ বছর বয়সী রোজি পেশায় একজন ভূবিজ্ঞানী। তিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ডেলরে বিচের কোস্টাল ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট টিমে কাজ করেন। এই কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন তিনি ভয়ংকর প্রাণীর মুখোমুখি হন। আর মডেল হিসেবে ইনস্টাগ্রামে নানা ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করছেন।

২৬ বছর বয়সী রোজি পেশায় একজন ভূবিজ্ঞানী।
ছবি: রোজি মুরের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

রোজি মুর বলেন, ‘ইনস্টাগ্রামে মানুষ সব সময় আমাকে নিয়ে রসিকতা করে বলেন যে আমি হানা মন্টানার মতো। কারণ, আমি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করব আবার আমিই মাঠে ভয়ংকর কাজ করব, কোমর পর্যন্ত কাদায় ডুবে থাকব; এরপরে তারা আবার দেখবে যে কোনো একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমি মেকআপ করে, হাইহিল ও ঝকমারি পোশাকে হাজির হচ্ছি।’

মডেলিং ক্যারিয়ারেও যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানী রোজি মুর। তিনি বিজ্ঞানী হলেও মানুষ তাঁকে বেশি চেনে সৌন্দর্যের জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ডেলরে বিচের কোস্টাল ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট টিমে কাজ করেন রোজি।
ছবি: রোজি মুরের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

মডেলিং বিষয়ে রোজি বলেন, ‘আরও একটি সম্মানজনক ক্যারিয়ার আছে—মানুষ এটা জানলে তাদের আরও বেশি উচ্চ ধারণা হবে। অন্যদিকে বিজ্ঞানের জগতেও আমি মডেলিং করি বলে মানুষ আমাকে সম্মান করে। সবাই বিষয়টি একদিকেই নিয়ে যায় বলে আনন্দ হয়।’

বিজ্ঞানকেন্দ্রিক কাজে নারীদের আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে তিনি মডেলিং শুরু করেন রোজি।
ছবি: রোজি মুরের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

এই বিজ্ঞানী বলেন, বিজ্ঞানকেন্দ্রিক কাজে নারীদের আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে তিনি মডেলিং শুরু করেন। হাঙর ধরা বা পানির নিচে ডাইভ দেওয়ার ছবি তুলতে তুলতে তাঁর মডেলিংয়ে আগ্রহ জন্মায়। এ কারণেই কিছু পণ্যের মডেল শুটের আলোকচিত্রীদের সঙ্গে পরিচয় হয়। এভাবেই তিনি ধীরে ধীরে মডেল হয়ে ওঠেন।