শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি ও আলাবামা অঙ্গরাজ্যে। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। গত শনিবার মিসিসিপির রোলিং ফর্কে
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি ও আলাবামা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়। এতে অন্তত ২৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে রোলিং ফর্ক নামের শহরটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানকার রাস্তায় পড়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপের নানা চিহ্ন। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত শুক্রবার রাতে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে মিসিসিপি ও আলাবামার আরও বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেছে, জরুরি উদ্ধারকাজ চালু রয়েছে। 

মিসিসিপির জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলাবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, সেই হিসাব জানিয়ে টুইটারে এক পোস্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।

রোলিং ফর্ক শহরটির মেয়র এলড্রিজ ওয়াকার বলেছেন, ‘আমার শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমরা ধ্বংসযজ্ঞ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’ এই শহরেই আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রোলিং ফর্ক শহরের বাসিন্দা ফ্রান্সিসকো ম্যাকনাইট বলেন, তিনি বাথটাবে আশ্রয় নিয়েছিলে। তিনি ভাগ্যবান বলে বেঁচে গেছেন। শহরটির জনসংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এর মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সেখানে এক ডজনের বেশি ভবন ঝড়ে ভেঙে গেছে। যে ঘরগুলো কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা ছিল, সেগুলো টুকরা টুকরা হয়ে গেছে। 

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে মধ্যরাতে। অনেকেই এ সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। এই ঘূর্ণিঝড় স্থায়ী হয় মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিট। ঝড়ের পর ওই এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।