ট্রাম্প–সির ফোনালাপে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের আশাবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল শুক্রবার ফোনালাপে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের আশা প্রকাশ করেছেন। এই জন্য তাঁরা ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণ করবেন। শপথ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী রোববার থেকে চীনের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির এই দুই নেতা ফোনালাপ করলেন।
ফোনালাপে সি বলেছেন, ‘আমি ট্রাম্পের সঙ্গে “ভালোভাবে শুরু” করতে চাই।’ জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার আশা, আমরা দুজনে মিলে অনেক সমস্যা একসঙ্গে সমাধান করতে পারব।’
কিন্তু ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় চীনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প এটাও বলেছেন, তিনি সির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। সির প্রকাশ্যে প্রশংসা করে থাকেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদেও চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবার নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি দেশটির পণ্যে আরও ১০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, চীন থেকে ব্যথানাশক ফেন্টানিলের রাসায়নিক উপাদান মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করে। অতিমাত্রায় ফেন্টানিল সেবনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা যায়।
গতকাল ফোনালাপের পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা বাণিজ্য, ফেন্টানিল, টিকটক ও আরও অনেক বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে প্রেসিডেন্ট সি ও আমি সম্ভাব্য সবকিছু করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস গত বছর একটি আইন পাস করে। এর মাধ্যমে টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্সকে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে অথবা দেশটিতে অ্যাপটির ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। আগামী রোববার থেকে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে ট্রাম্পই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।