ওই বোতলের মধ্যে ছিল একটি চিঠি। সেটিতে লেখা ছিল ট্রয় হেলারের নাম আর একটি ঠিকানা ও ফোন নম্বর। এসব তথ্য ব্যবহার করে অনলাইনে ট্রয়ের খোঁজ শুরু করেন কেটি ও অ্যানি। পরে দেখতে পান, কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের মাউন্ট ওয়াশিংটনে একই নামে একজন থাকেন।

এরপর ওই ঠিকানায় ফোন দেন দুজন। ট্রয় প্রথমে অপরিচিত নম্বর দেখে ফোন ধরেননি। পরে একটি খুদে বার্তা দেখে চমকে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখনই বার্তাটি দেখলাম, ওই বোতলে চিঠি ভরে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি আমার মনে পড়ল।’

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ট্রয় বলেন, ১৯৮৫ সালে তিনি ফ্লোরিডার ভেরো সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১০ বছর। সে সময় ওই বোতল সাগরের পানিতে ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রায় চার দশক পরও সেটি ঠিকঠাক থাকবে, এমন আশা করেননি।

এদিকে ট্রয়ের সন্ধান পাওয়ার পর চিঠিটি তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন কেটি ও অ্যানি। বর্তমানে ট্রয় সেটি তাঁর ছবির সঙ্গে ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখেছেন। তিনি যখন চিঠিসহ বোতলটি পানিতে ফেলছিলেন, তখন ওই ছবি তোলা হয়েছিল।

ট্রয় বলেন, ‘এটা এমন একটা ঘটনা, যা আপনি কখনো ভাবতে পারবেন না। আমি ভেবেছিলাম, বোতলটা পানিতে ছুড়ে দেব আর সেটি কত দূর যায় দেখব। তবে শেষ পর্যন্ত বোতলটা আমার কাছে ফিরে আসাটা অসাধারণ।’