নাসার রকেট
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার আর্টেমিস–১ রকেট উৎক্ষেপণের কথা ছিল গত শনিবার। সে অনুযায়ী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। চার লাখের বেশি দর্শক চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক এই রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রকেটটিতে হাইড্রোজেন লিকের ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণকারী বিজ্ঞানীরা সেটা বন্ধ করতে পারেননি। ফলে রকেট উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে বাধ্য হন তাঁরা। সোম বা মঙ্গলবার আবার রকেটটি উৎক্ষেপণের চেষ্টা করার কথা ছিল। কিন্তু নাসার গবেষকেরা বলছেন, এ মাসে আর রকেটটি উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না।

শনিবার নাসার এক্সপ্লোরেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্টের সহযোগী প্রশাসক জিম ফ্রি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আর্টেমিস–১ চন্দ্রাভিযানের জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তী উৎক্ষেপণের সময়সীমা হতে পারে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী সময়সীমা হবে ১৭ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে।

এর আগে গত সোমবার কারিগরি ত্রুটির কারণে শেষ মুহূর্তে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। নাসার পক্ষ থেকে নভোচারীবিহীন আর্টেমিস–১–কে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ বলা হচ্ছে। আর্টেমিস-১ মহাকাশ মিশনে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) পরীক্ষা করার পাশাপাশি মনুষ্যবিহীন ওরিয়ন ক্যাপসুল পরীক্ষা করা হবে। ভবিষ্যতের মানুষের চাঁদে যাত্রার প্রস্তুতির জন্য এগুলো পরীক্ষা করে দেখছে নাসা।

নাসার এযাবৎকালের নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট হচ্ছে আর্টেমিস–১। কিন্তু এটাতে কোনো নভোচারী থাকছেন না। নাসার তথ্য অনুযায়ী, রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওরিয়ন ক্যাপসুলটি মহাকাশে ছয় সপ্তাহ পার করবে। ভবিষ্যতে এই ওরিয়ন ক্যাপসুলে করেই চাঁদে ফিরবে মানুষ। ২০২৫ সাল বা তার আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠে একজন নারী ও একজন পুরুষ পা রাখবেন।

আরও পড়ুন

যান্ত্রিক ত্রুটিতে নাসার চন্দ্রাভিযান পেছাল