ইউক্রেনের জন্য হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা হিমার্স সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: এএফপি

রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন, সামরিক দিক বিবেচনায় মস্কোর মতো পরাশক্তির কাছে তেমন পাত্তা পাবে না তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকা কিয়েভ। তবে সেই পূর্বানুমান সত্যি হয়নি। ইউক্রেনের তুমুল প্রতিরোধে ছয় মাস ধরে যুদ্ধ করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বাহিনীর জন্য ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠেছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স)। শুরু থেকে ইউক্রেনে এই অস্ত্র সরবরাহ করছে ওয়াশিংটন।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা এল, ইউক্রেনের জন্য হিমার্সের উৎপাদন বাড়াচ্ছে তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ উইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য হিমার্সের উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর জানানো হয়েছে।
আরকানসাস রাজ্যের ক্যামডেন শহরে রয়েছে মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের একটি কারখানা। সম্প্রতি ওই কারখানা পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অ্যাকুইজিশনবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উইলিয়াম লাপ্লানতে। হিমার্স ও গাইডেড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমস (জিএমএলআরএস) তৈরি করে লকহিড মার্টিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কারখানা পরিদর্শন শেষে লাপ্লানতে হিমার্সের উৎপাদন বাড়ানোর এ ঘোষণা দিয়েছেন।

রুশ বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র হিমার্স। গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন এখনো হালকা ওজনের ও কাঁধে বহনযোগ্য ওই অস্ত্র মোতায়েন করেছে। এর মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট হামলাও চালানো যায়।

আরও পড়ুন

লাপ্লানতে বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও অস্ত্রব্যবস্থার উৎপাদন বাড়াতে আমরা সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। এর মধ্যে রয়েছে আরও অস্ত্র কেনার জন্য তহবিল সরবরাহ, উৎপাদন বাড়ানো এবং আরও কর্মী নিয়োগ ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করা।’

লাপ্লানতে আরও বলেন, ‘মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেমনটা বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন দেখতে চায়, যাদের প্রতিরোধ করার সক্ষমতা থাকবে এবং আরও আগ্রাসন ঠেকিয়ে নিজেদের রক্ষা করবে।”’

আরও পড়ুন

২৪ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে আরও ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের ছয় মাস পূর্তির মুহূর্তে বাইডেন এমন ঘোষণা দেন। তাঁর এ ঘোষণার পরই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দুই সহকারী লকহিড মার্টিনের কারখানা পরিদর্শনে যান।

আরও পড়ুন