গত বুধবার টেরান ১ রকেটটি উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের তাপমাত্রার সমস্যার কারণে রকেট উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখা হয়। গতকাল আবার সেটি উৎক্ষেপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। টেরান ১ নামের রকেটটির পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাতে আট মিনিট লাগবে। এ যাত্রাপথে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং এ ধরনের রকেট উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার ধাক্কা সামলাতে পারে কি না, তা দেখা হবে। পরীক্ষা সফল হলে কম খরচে রকেট উৎক্ষেপণ করা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এ ছাড়া এটি হবে প্রথম বেসরকারি অর্থায়নে তৈরি যান, যাতে জ্বালানি হিসেবে মিথেন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথমবারের পরীক্ষায় টেরান ১ রকেট কোনো কার্গো বা অন্য ভারী বস্তু বহন করছে না। তবে এটি ১ হাজার ২০০ কেজি ওজনের বস্তু বহন করতে সক্ষম। রকেটটি ১১০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৭ ফুট ব্যাসের। ধাতব মিশ্রণ ব্যবহারে থ্রি–ডি মুদ্রণ পদ্ধতিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিশ্বে ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ পদ্ধতিতে তৈরি করা বৃহত্তম বস্তু এটি। তাদের লক্ষ্য ছিল রকেটটির ৯৫ শতাংশই থ্রি–ডি প্রিন্টারে তৈরি করা। এ রকেটে ব্যবহার করা হচ্ছে এওন ইঞ্জিন, যা তরল অক্সিজেন ও প্রাকৃতিক গ্যাসে চলে। এ ধরনের পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে মঙ্গল মিশনে যাওয়া সম্ভব হবে।