৫০ বছর পর চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পথে মার্কিন মহাকাশযান

আইএম-১ মিশনে তোলা পৃথিবীর ছবি। ইনটুইটিভ মেশিন-এর ওয়েবসাইটের সৌজন্যে।

অর্ধশতাব্দী পর আবারও চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে মার্কিন মহাকাশযান। হাউসটনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান তাদের পাঠানো একটি মহাকাশযানকে আজ বৃহস্পতিবার চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানোর চেষ্টা চালাবে।

বাণিজ্যিক মহাকাশযানের মাধ্যমে পরিচালিত এই চন্দ্রাভিযানে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। চলতি দশকের শেষ দিকে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পথ সুগম করা এ অভিযানের লক্ষ্য।

সবকিছু ঠিক থাকলে প্রতিষ্ঠান ‘ইনটুইটিভ মেশিন’ তার ষড়ভুজ আকৃতির রোবট ‘অডিসিয়াস’কে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে (২২৩০ জিএমটি) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সন্তর্পণে অবতরণের পথনির্দেশনা দেবে।

অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আশা করছেন, চাঁদের মাটি স্পর্শ করার ঐতিহাসিক মুহূর্তের প্রায় ১৫ সেকেন্ড পর তাঁরা চন্দ্রাভিযান সফল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে অভিযানটি লাইভ সম্প্রচার করবে।

অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আশা করছেন, চাঁদের মাটি স্পর্শ করার ঐতিহাসিক মুহূর্তের প্রায় ১৫ সেকেন্ড পর তাঁরা চন্দ্রাভিযান সফল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে অভিযানটি লাইভ সম্প্রচার করবে।

চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি গিয়ে রোবট অডিসিয়াস তার ‘ইগলক্যাম’-এর সাহায্যে ল্যান্ডার অবতরণের মুহূর্তের সর্বশেষ কয়েক সেকেন্ডের ছবি তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক অনুপস্থিত থাকার পর তার চন্দ্রাভিযানের সক্ষমতা নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।
—স্কট পেস, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক

এর আগে গত মাসে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের চন্দ্রাভিযান ব্যর্থ হয়। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চন্দ্রাভিযান পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। সবশেষ ১৯৭২ সালে নাসা সফলভাবে চাঁদে অ্যাপোলো ১৭ মিশন পরিচালনা করে।

জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্কট পেস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক অনুপস্থিত থাকার পর তার চন্দ্রাভিযানের সক্ষমতা নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ কাউন্সিলের সাবেক সদস্য পেস আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই এমন কথা শোনা যায়, আমরা অতীতে এটি (সফল চন্দ্রাভিযান) করেছি; এখন কেন পারব না? এ অভিযান কীভাবে করতে হয়, তা প্রতিটি প্রজন্মকেই শিখতে হবে।’