যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তা

প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগার বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে
রয়টার্স ফাইল ছবি

নিকারাগুয়ায় প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগার সরকারকে সমর্থন জানানোয় দেশটির শতাধিক কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তাঁর পোস্টে বলেছেন, নিকারাগুয়ায় মানবাধিকারকে সংকুচিত ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করায় ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তিনি নিকারাগুয়ার কারাগারে বন্দী ক্যাথলিক বিশপ রোনান্দো ইভারেজকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশপ ইভারেজ নিকারাগুয়া সরকারের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে তাতে তিনি রাজি হননি।  

২০২১ সালের নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন ওর্তেগা। যদিও ‘কারচুপির’ ওই নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রচুর সমালোচনা রয়েছে। চতুর্থ দফায় ক্ষমতায় বসার পর ওর্তেগা কয়েক ডজন বিরোধী নেতাকে জেলে পুরেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ‘ভুয়া’ অভিযোগ আনা হয়েছে, যেসব অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহের সমান অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায়।

আরও পড়ুন

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিকারাগুয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এমনকি বিরোধী নেতা ও আইনপ্রণেতাদের দোষী সাব্যস্ত করা বিচারকদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তখন মোট ১১৬ জনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল। ওই তালিকায় আরও ছিলেন মেয়র, সরকারি কৌঁসুলি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক, পুলিশ কর্মকর্তা, কারা ও সামরিক কর্মকর্তা।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নিকারাগুয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন সেনা কর্মকর্তার সম্পদও জব্দ (ফ্রিজ) করা হয়েছে আগেই। নিকারাগুয়ার টেলিকম ও খনি খাতের সম্পদ রয়েছে এ জব্দ তালিকায়।