যুক্তরাষ্ট্রে সুপারবোলের বিজয়মিছিলে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ১

অনুষ্ঠানে গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ফুটবলভক্তরা আতঙ্কিত হয়ে এদিক–সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেনছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরিতে সুপারবোলে (আমেরিকান ফুটবল) শিরোপা জয় উদ্‌যাপনের মিছিলে বন্দুকধারীর হামলা হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ শিশুসহ ২১ জন। গতকাল বুধবার অঙ্গরাজ্যটির কানসাস সিটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএলে) সুপারবোলে কানসাস সিটি চিফসের শিরোপা জয় উদ্‌যাপনে ওই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। হামলার জেরে মিছিলে যোগ দেওয়া ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ হামলার ঘটনার পর তিনজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে হামলা চালানো হয়েছে, তা জানতে তদন্ত চলছে।

গত রোববার সান ফ্রান্সিসকো ফোরটিনাইনারসকে ওভারটাইমে ২৫-২২ ব্যবধানে হারিয়ে এনএফএলের সুপারবোল শিরোপা জিতেছে চিফস। সর্বশেষ পাঁচ মৌসুমে এটি তাদের তৃতীয় শিরোপা।

এ উপলক্ষে বুধবার কানসাস সিটি চিফস দলের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক ভক্ত বিজয়মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। চিফসের খেলোয়াড়েরা ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার পরপরই হামলার ঘটনা ঘটে।

কানসাস শহরের চিলড্রেনস মারসি হাসপাতালে আহত ২১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে থাকা ১১ শিশুর বয়স ১৭ বছরের মধ্যে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

কানসাস সিটির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান রস গ্রান্ডিসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আহত ২১ ব্যক্তির মধ্যে ১৫ জনের আঘাত গুরুতর।

অনুষ্ঠানে গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ফুটবলভক্তরা আতঙ্কিত হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। তেমনই একজন পল কনট্রেরাস। তিনি তাঁর তিন মেয়েকে নিয়ে বিজয় উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে যোগ নিয়েছিলেন। কনট্রেরাস বলেন, পুলিশ আসার আগেই তিনি এক সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে ধরে ফেলতে সক্ষম হন এবং তাঁকে নিরস্ত্র করেন।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কনট্রেরাস বলেছেন, তিনি সন্দেহভাজনকে পেছন থেকে আঘাত করে নিচে ফেলে দেন। পরে তাঁর কাছে থাকা অস্ত্র নিয়ে নেন।

কানসাস সিটি পুলিশের প্রধান স্ট্যাসি গ্রাভেস বলেন, ‘আজ (বুধবার) যা ঘটেছে, তাতে আমি ক্ষুব্ধ। যেসব মানুষ এ উদ্‌যাপনে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা নিরাপদ পরিবেশ প্রত্যাশা করেন।’

কানসাস সিটির মেয়র কুইনটন লুকাসও কানসাস সিটি চিফসের বিজয় উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষই আজকের দিনটির অপেক্ষায় ছিল। এটা তাদের জন্য এক স্মরণীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকার কথা ছিল। কোনো বন্দুক সহিংসতার ঘটনা স্মৃতিতে বয়ে বেড়ানোর কথা ছিল না তাঁদের।’

সিটি চিফস দল এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আজকের বিজয়মিছিল ও সমাবেশের শেষ মুহূর্তে ইউনিয়ন স্টেশনের বাইরে যে বিবেকবর্জিত ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত।’