ভাঙচুর–লুটপাট ঠেকাতে লস অ্যাঞ্জেলেসে আংশিক কারফিউ জারি
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থানীয় পর্যায়ের জরুরি অবস্থা ও আংশিক কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরটির মেয়র ক্যারেন ব্যাস গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ক্যারেন ব্যাস বলেন, গতকাল স্থানীয় সময় রাত আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।
কারফিউ কেন দরকার, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মেয়র ক্যারেন ব্যাস বলেন, ‘শহরজুড়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। আমি আগামীকাল নির্বাচিত নেতা ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব…আমরা ধারণা করছি, এমনটা (আংশিক কারফিউ) কয়েক দিন চলবে।’
কারফিউ বিষয়ে ক্যারেন ব্যাস আরও বলেন, এটি মাত্র এক বর্গমাইল এলাকার জন্য জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই এক বর্গমাইলে যা ঘটছে (কারফিউ জারি), তা গোটা শহরের ওপর প্রভাব ফেলছে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোনো সংকট নয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলেসে ইতিমধ্যে আংশিক কারফিউ কার্যকর হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস সরকার মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের কাছে একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এতে লেখা আছে, লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি ঘোষণা করেছে যে রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত, জরুরি চিকিৎসা ও জরুরি সেবা প্রদানকারীরা এর আওতামুক্ত।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বলছে, শহরটিতে চলমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার ২৭ জন, রোববার ৪০ জন, সোমবার ১১৪ জন এবং গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের প্রধান জিম ম্যাকডনেলও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন। কারফিউ সম্পর্কে তিনি বলেন, টানা কয়েক দিন শহরে যেভাবে অস্থিরতা বেড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় এ কারফিউ জারি করা প্রয়োজন।
জিম ম্যাকডনেল বলেন, গণমাধ্যম ও আরও যাঁরা কারফিউয়ের আওতামুক্ত, তাঁরা ছাড়া কেউ কারফিউ অমান্য করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
ম্যাকডনেল আরও বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার ২৭ জন, রোববার ৪০ জন, সোমবার ১১৪ জন ও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমনে লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন ট্রাম্প।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসম ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প তাঁর ওই আপত্তি আমলে নেননি।